এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি কর্মী খুনে বিজেপি কর্মীদেরই আটক! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি হেভিওয়েট গেরুয়া নেতার!

বিজেপি কর্মী খুনে বিজেপি কর্মীদেরই আটক! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি হেভিওয়েট গেরুয়া নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাগনানে বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এদিন বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধকে কেন্দ্র করে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকটি জায়গায় র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয় বলেও জানা যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিবাদ ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানা যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাগনান এলাকায় বিজেপির সমর্থক ছিলেন কিঙ্কর বলে একজন ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি করা যাবে না বলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল বলেই অভিযোগ করেছেন তাঁর বাড়ির লোক। এরপর অষ্টমীর দিন হাওড়া থেকে ফুল বিক্রি করে ফেরার সময়ই নাকি তাঁর বাড়ির কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

জানা যায়, তাঁর পেটে গুলি লাগে। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানকার ডাক্তাররা কলকাতায় রেফার করেন তাঁকে। এরপর কলকাতায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পেটে অস্ত্রোপচারও করা হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।

গতকাল বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই ব্যক্তি মারা যান বে জানা যায়। এরপর তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাগনান এলাকা। বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে দফায় দফায় চলে জাতীয় সড়ক অবরোধ।

এরই মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নন্দ মাঝির বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। বাগনান থেকে বেনাপোল যাওয়ার রাস্তাতেও অবরোধ শুরু হয়।এরপর খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলতে হয় বলেই জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তারপরেই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় অবরোধ করেন বিরোধীরা। বাগনান থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আর সেই কারণেই দলীয় কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি আজ ১২ ঘণ্টা বাগনান বনধের ডাক দেয়। আর সেই কারণেই মূলত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাগনান এলাকা।

যদিও তৃণমূল দাবি, জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা বা ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছে তারা। তবে দোকানপাট খোলা নিয়ে এদিন তৃণমূল-বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই জানা গেছে। এক্ষেত্রে অশান্তি রুখতে র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্সের টহলদারি চলছে বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে সকালে এলাকায় কিছু দোকান খোলা থাকলেও, বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ জোর করে দোকান খোলায় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। জানা গেছে, সকালে এলাকায় শান্তিমিছিল করার জন্য জমায়েত হচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পুলিশ নাকি গিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। আর এরপরই এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।

এরই মধ্যে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলেও অভিযোগ জানান তিনি। আর এরপরেই বাগনান থানায় চড়াও হন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। থানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তাঁদের।

শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে থানায় ঢোকারও চেষ্টা হয় বলে আভিযোগ। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই সাংসদ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা যায়। পরে জসনাপাড়ায় মৃতের বাড়িতেও যান তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

মৃতের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর, তিনি বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির সমর্থক। তিনি পুলিশকে বলেছেন এদের ছেড়ে দিতে। যদি না ছাড়া হয় তাহলে গোটা হাওড়া জুড়ে বিজেপি বনধ ডাকবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেছে বলেই খবর পাওয়া গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!