তৃনমূলী আগ্রাসনের মাঝেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য বিশাল সুখবর শোনালেন জেপি নাড্ডা! কলকাতা জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই পুজোর আগে বঙ্গ সফর সেরে এসেছেন জেপি নাড্ডা। আর এবার আবারও বাংলায় আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। জানা গেছে, আগামী 6 নভেম্বর আবারও রাজ্যে আসতে চলেছেন জেপি নাড্ডা। আর বাংলা সফরের আগে এবার রাজ্যের তৃনমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমন করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে। স্বভাবতই জেপি নাড্ডার এই দাবি বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক সোরগোল সৃষ্টি করেছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় বলেন, “বিজেপি দায়িত্বশীল দল। সব ধরনের সংবেদনশীলতাকে তারা ভোটে রুপান্তরিত করবেন। মনযোগ দিয়ে, উদ্দেশ্য নিয়ে মাটিতে পা রেখে বিজেপি কাজ করে চলেছে।” রাজ্যে বিজেপি ধর্মীয় বিভাজন করে না বলেও দাবি করেছেন সর্বভারতীয় এই বিজেপি নেতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলাকে যে বেশি করে টার্গেট করেছে, তা বলাই যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই এদিন আবারও তৃনমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “এর কারন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতাশা। কারন মুখ্যমন্ত্রী জানেন, তার ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। আগের বাম সরকারের থেকে তৃনমূল সরকার বিরোধীদের ওপরে বর্বরতা এবং রাজনৈতিক অত্যাচারের পরিমান বৃদ্ধি করেছে।” অনেকে বলছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনুধাবন করেছে, বাংলার বিজেপি নেতাদের দিয়ে তৃনমূলকে চাপে রাখা সম্ভব নয়। তাই অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নাড্ডা প্রত্যেকে বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছেন। এতদিন কেন্দ্রীয় নেতারা সেভাবে বাংলার দিকে নজর দেননি। কিন্তু পুজোর আগে থেকেই এই ব্যাপারে তৎপরতা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের। আর আগামী 6 নভেম্বর বাংলা সফরের আগে জেপি নাড্ডার তৃনমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া নয়া ইঙ্গিত বহন করছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে বলে বিজেপি সভাপতি তৃনমূলের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেন। সব মিলিয়ে জেপি নাড্ডার তৃনমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আগামী দিনে কি বার্তা বহন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -