প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আবার আক্রান্ত হলেন জনৈক বিজেপি কর্মী, সেইসঙ্গে ব্যাপক ভাংচুর চললো জনৈক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। এই দুই ঘটনাতেই অভিযোগ উঠে এলো শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে আরামবাগের পুরশুরার সমোষপুর গ্রামে জনৈক বিজেপি কর্মীকে প্রচন্ড মারধর ও অপর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে প্রচন্ড ভাঙচুর চালানো হলো। যে ঘটনায় বিজেপি অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলকে। তবে, তৃণমূল এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের দাবি, জনরোষের কারণে এমন ঘটনা দুটি ঘটেছে।

হুগলির আরামবাগের পুরশুরার সমোষপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেন লাল্টু মালিক। যিনি এলাকায় বিজেপির কর্মী বলে পরিচিত। গতকাল রাতে তিনি যখন বাড়ির বাইরে ছিলেন, সেসময় বেশকিছু তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক তাঁর ওপর হঠাৎ চড়াও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। তার হেনস্তার খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও মারধরের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি তাঁকে। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল তৃণমূল কর্মীরা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পরে যায়।

এদিকে, গতকাল রাতেই আরামবাগের পুরশুরার সমোষপুর গ্রামে অপর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগে অভিযুক্ত হলো তৃণমূল শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গতকাল রাতে হঠাৎ চড়াও হয় বেশকিছু তৃণমূল কর্মী। বিজেপি কর্মীর বাড়ির আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মীরা।

গতকালের এই দুটি ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি শিবির। ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। গতকাল গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়, গন্ডগোলের আশঙ্কা থেকে। এই দুটি ঘটনার তদন্ত পুড়শুড়া থানার পুলিশ শুরুও করেছে। তবে, এখনো পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।

দুই ঘটনায় বিজেপি অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলকে। তবে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির দিক থেকে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গতকালের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউই জড়িত নন। স্থানীয় মানুষদের রোষের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে, বলে দাবি তৃণমূলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। আগামী বিধানসভা নির্বাচন যত সামনে এগিয়ে আসতে থাকবে, ততই বাড়বে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, জানাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।