এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিজেপি নেতার যুবতী কন্যা অপহৃত হতেই অনুব্রত-গড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বনধের চেহারা, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

বিজেপি নেতার যুবতী কন্যা অপহৃত হতেই অনুব্রত-গড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বনধের চেহারা, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা


লোকসভা ভোটের মুখে এক বিজেপি নেতার কিশোরী কন্যা অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঘোষিত বনধের জেরে উত্তেজনা ছড়াল অনুব্রত গড়ে। ঘটনার রাত থেকেই সিউড়ি কাটোয়া রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এলাকার দোকানপাটও বন্ধ ছিল।

অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সম্মুখীন হন নিত্যযাত্রীরা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,তাঁদের অভিভাবক এবং অ্যাম্বুলেন্সকে ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করার দাবী জানিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের বিশেষ পাত্তা দেওয়া হয়নি। এসডিপিও সহ একাধিক পুলিশ গাড়ি এই বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিল বলেই খবর পাওয়া যায়।

অপহরণের ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানোর কোনো ইচ্ছা না থাকলেও অপহৃতার বাবার লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগদান এবং তাঁর সঙ্গে স্থানীয় এক দাপুটে তৃণমূল নেতার একাধিক মামলার বিষয় সামনে আসায় রাজনৈতিক অভিসন্ধির সন্দেহ করছেন অনেকেই।

ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে স্থানীয় থাবায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতারা। তবে পুলিশ অপহৃতার পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয় খতিয়ে দেখতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বললেন,এ ব্যাপারে এখনো কোনো রাজনৈতিক যোগাযোগ পাওয়া যায় নি। মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্যে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে কুকুরের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।

দুষ্কৃতিদের স্কেচ বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সিআইডির আধিকারিকদের দিয়ে। এদিনের অবরোধ সম্পর্কে পুলিশের বক্তব্য,সাধারণ মানুষের এই অহেতুক আন্দোলনের নেপথ্যে কিছু বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। এসব বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানালেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের সূত্র ধরে আপাতত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত,দিন দুয়েক আগে লাভপুরের বাবুপাড়ার বাসিন্দা সুপ্রভাত বটব্যালের বছর বত্রিশের মেয়েকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। এই অভিযোগ চাউর হতেই উত্তোজনা ছড়ায় লাভপুরে। রাত থেকে টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয়ে যায় রাস্তা অবরোধ। পুরনো বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও লাঘাটা ব্রিজ, ষষ্ঠীনগরে টায়ার জ্বালিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ব্যস্ততম রাস্তায় সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে মালবাহী ট্রাক,বাস এমনকী,বন্ধ করে দেওয়া হশ বাইক চলাচলও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়,অবরোধের সময় রাস্তায় আসা পুলিসের গাড়ির লক্ষ্য করে বাঁশ ও লাঠি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসা সাংবাদিককেও হেনস্তার শিকার হন। কয়েকটি ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে এই অবরোধের কোনো প্রভাব খাটানো হয়নি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং হাসপাতালে যাওয়া অসুস্থ মানুষের উপর।

উল্লেখ্য,জেলা সূত্রের খবর,অপহৃতার বার সুপ্রভাত বাবু বামফ্রন্টের আমলে নকশাল করতেন। তিনি সেসময় এলাকার জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। একসময় সিটুর প্রভাবশালী নেতাও হয়েছিলেন। পরে তিনি বিধায়ক মণিরুল ইসলামের সূত্র ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে এবারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিতে নাম লেখান।

এরপর নিজের বাড়িতে ভোট নিয়ে মিটিং করার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ তোলেন সুপ্রভাত বাবু। এরপর সুপ্রভাত বাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। দিন কয়েকআগেই অভিযোগ ওঠে,ওই তৃণমূল নেতা সহ ব্লকের নেতাদের খুনের ষড়যন্ত্র করছেন সুপ্রভাত বটব্যাল। এনিয়ে থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয় সুপ্রভাত বাবুর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই তিনি লাভপুর ছেড়েছিলেন।

34এরপরই তাঁর যুবতী কন্যার অপহরণের ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতকে কিছুতেই অস্বীকার করা যাচ্ছে না বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। অপহরণের ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ তোলেন সুপ্রভাত বাবু। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আলাদা ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এদিকে ওই তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অপহরণের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশি তদন্তে ভরসা রাখেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!