এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুদলের হাতাহাতি, প্রাণ হারালেন বিজেপি নেতা, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে!

পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুদলের হাতাহাতি, প্রাণ হারালেন বিজেপি নেতা, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিধ্বনি যতই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ততই তৃণমূল ও বিজেপি দলের মধ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক বিভেদ, সংঘর্ষ।

দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, হত্যাকান্ড ইত্যাদি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আজ শনিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে পতাকা জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হলো হুগলি জেলার খানাকুল এলাকা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে শুরু হলো দুই দলের পারস্পরিক বচসা, বচসা রূপ নিলো হাতাহাতিতে, তারপর ধারালো অস্ত্রে নিহত হলেন বিজেপি নেতা সুদাম প্রামাণিক।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হুগলি জেলার খানাকুলের নতিপুরের এলাকায় একটি বিশেষ স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করেছিল দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি। শেষপর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই দলের মধ্যে শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক বিবাদ।এই বিবাদ ক্রমশই বাড়তে থাকে । শেষপর্যন্ত তা রূপ নেয় হাতাহাতির। এই হাতাহাতির জেরেই দেহে অস্রের আঘাত পান সুদাম প্রামাণিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দুই দলের তাঁরা ব্যাপক সংঘর্ষ লক্ষ করেছেন। আর এই সংঘর্ষ চলাকালীন হুগলি জেলা পরিষদের জনৈক সদস্য সেই সঙ্গে খানাকুলের স্থানীয় বিজেপি নেতা সুদাম প্রামাণিকের উপর ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী আচমকা ঝাঁপিয়ে পরে। সুদাম প্রামাণিকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুব জোরে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই ভূপতিত হন রক্তাক্ত সুদাম বাবু। আহত সুদামবাবুকে ধরাধরি করে তাঁর দলের লোকেরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতেলর ডাক্তারের তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সুদাম প্রামাণিকের অকাল মৃত্যুতে খানাকুল জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তৃণমূলকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজেপি এর সুবিচার দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এমনকি মৃত সুদাম প্রামাণিকের দেহ উদ্ধারেও তারা বাধা দেয়। খানাকুল এলাকায় অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযোগ উঠেছে , পুলিশকে কেন্দ্র করেও নিজেদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা । এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ এখনো যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত বিজেপি নেতা সুদাম প্রামাণিককে হত্যার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!