আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে বাংলার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই একাংশ কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় দলেরই অন্দরে। আর যে ক্ষোভ সামাল দিতে রাজ্য নেতৃত্বের পর হস্তক্ষেপ করতে হয় স্বয়ং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও।

আর এবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রার্থী হওয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তারই নিজের বিধানসভা খড়্গপুর তথা মেদিনীপুর বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক।

সূত্রের খবর, প্রার্থী হওয়ার জন্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দালালী করার অভিযোগ তুলে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক বলেন, “বিজেপির জন্মলগ্ন থেকে কাজ করলেও কারওর পেছনে গিয়ে আমি দালালি করিনি। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছার জন্য দিল্লী গিয়ে দালালি করতেন দীলিপবাবু। বিধায়ক থাকার সময় এলাকার উন্নয়ন তহবিল তিনি অত টাকাও খরচ করতে পারেননি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেকথা বোঝা উচিত।”

এদিকে বিজেপির প্রবীণ সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েকের এহেন মন্তব্যের জেরে কিছুটা হলেও চাপে পড়তে দেখা গেছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এদিন তিনি বলেন, “আমি নিজে ভোটে দাঁড়াতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু তাও আমাকে দাঁড় করানো হয়েছে। আর দল তাঁকেই দাড় করাবে যে জিততে পারে।”

বস্তুত এই কথা বলেই আদতে প্রদীপবাবুকেই খোঁচা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কেননা খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবার এবং গত 2009 সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় এই মেদিনীপুর আসন থেকে সেই প্রদীপ পট্টনায়ককে প্রার্থী করা হলেও তিনি একবারও জয়লাভ করতে পারেননি। আর সেই কথা তুলে ধরেই এদিন পাল্টা সেই প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।