এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঝাড়খণ্ডের খুনের মামলায় অভিযুক্তের বাইক-মোবাইল মিলল বাংলার বিজেপির দাপুটে নেতার বাড়িতে!

ঝাড়খণ্ডের খুনের মামলায় অভিযুক্তের বাইক-মোবাইল মিলল বাংলার বিজেপির দাপুটে নেতার বাড়িতে!


 

জনমানসে যখন বিজেপির সম্পর্কে সদ্ভাবনা জন্মাচ্ছে, ঠিক তখনই একের পর এক নেতার কুকীর্তিতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে গেরুয়া শিবির। এবার ঝাড়খণ্ডের খুনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাইক এবং মোবাইল জামুড়িয়ার বিজেপির জেলা সম্পাদকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

বস্তুত, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানা এলাকার বাসিন্দা স্করপিও গাড়ির মালিক প্রভাত কুমার গত 17 জুলাই থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর গত 20 জুলাই স্থানীয় থানায় তার ব্যাপারে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হলে একমাস পর পুলিশ জানতে পারে যে, সেই প্রভাত কুমারের দেহ বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। সেই সময়ই এই খুনের ঘটনায় ঝাড়খন্ড পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই আরও বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছেন কার্তিক নামে এক যুবক।

এদিন সেই কার্তিককে খুঁজতে গিয়েই জামুরিয়া এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ খবর নিয়ে জানতে পারে যে, বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংয়ের বাড়িতেই সেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। আর সেইমত সেই সন্তোষ সিংয়ের বাড়িতে এদিন অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাইক এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কার্তিক ধীবরের মোবাইল এবং বাইক বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ায় এখন প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপিকে দায়ী করে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে জামুড়িয়ার বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা পূর্ণশশী রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তিন বছর ধরে এই অভিযোগই করছিলেন। ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে বাংলায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তা আরও একবার প্রমাণ হল।” কিন্তু কেন তার বাড়িতে অভিযুক্তের বাইক এবং মোবাইল পাওয়া গেল! তাহলে কি তিনি অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়েছিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দলের কর্মী হিসেবে কার্তিক আমার পরিচিত। ও 30000 টাকার বিনিময়ে আমাকে বাইক দিয়ে যায়। পুলিশ এসে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। দুটি মোবাইলও পেয়েছে বলে বলছে। কিন্তু ওর এই কাজ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আর সে এখানে ছিল না।”

তবে সন্তোষবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এই ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাদের দলের সন্তোষ সিংহের সাথে সেই অভিযুক্তের কোনো যোগ নেই বলে তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই। এদিন তিনি বলেন, “মাছ ব্যবসা করতে গিয়ে সন্তোষবাবুর সঙ্গে কার্তিকের পরিচয় হয়। সেই সূত্রে বাড়িতে বাইক রেখে গিয়েছিল। এর সঙ্গে দলের যোগ নেই। সন্তোষবাবুর পক্ষেও তো সব কিছু জানা সম্ভব নয়।”

তবে জেলা বিজেপির সভাপতি যে কথাই বলুক না কেন, যখন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দল থেকে সরকারি যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক সেই সময় নেতাদের বাড়িতে অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা যে বিজেপিকে অনেকটাই কোণঠাসা করে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!