মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন কবে হবে! সরব বিজেপি নেতা, অস্বস্তিতে রাজ্য! কংগ্রেস কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতি চলার কারণে রাজ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছিল। যেখানে রাজ্যের প্রায় 110 টি মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার পরিচালনার জন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসক মন্ডলী। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিহারে নির্বাচন করানোর কথা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হলেও, কলকাতা সহ রাজ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলো নির্বাচন কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই আদালতে এই নিয়ে মামলা চলছে। যেখানে মামলাকারী প্রশ্ন করেছেন, কলকাতা পৌরসভার মানুষ কি অন্যায় করেছে? কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যদি বিহারে নির্বাচন করাতে পারে, তাহলে রাজ্যে কেন পৌরসভার নির্বাচন হবে না! আর এবার সেই নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা হলেও স্থিতাবস্থার আকার নিয়েছে। লকডাউন থেকে সরে এসেছে সরকার। তাই মানুষের জীবন যাপন যখন কিছুটা হলেও স্বাভাবিক, তখন কেন নির্বাচন করানো হচ্ছে না, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীরা রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, আসলে তৃণমূল নির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার সেই নির্বাচন করাচ্ছে না। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “এই বিষয়ে পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জানতে চেয়েছিলাম। তারা জানিয়েছেন এফিডেফিড দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে একটি বিচিত্র আইন তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কন্ডাক্ট করবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেখানে তারিখ ঠিক করে দেবেন রাজ্য সরকার। তারা কি আদৌ চাইবেন! হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছেন। রাজ্যের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছেন তারা প্রস্তুত। সরকার চাইলে নির্বাচন হতে পারে। তাহলে এটা পরিস্কার, রাজ্য সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে রাজি নন। তাই তারা নির্বাচন করাতে চাইছে না।” আর হেভিওয়েট বিজেপি নেতার এই কথাতেই এবার রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাহলে কি রাজ্য সরকার চাইছে না যে সঠিক সময়ে নির্বাচন করা হোক! তাহলে কি তারা আতঙ্কিত যে জনমত তাদের বিপক্ষে যাবে? আর তাই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিলেও রাজ্য সরকার এখন নির্বাচনে যেতে চাইছেন না! জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্যের পর এখন এই সমস্ত প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ রয়েছে একাধিক পৌরসভা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড বসিয়ে দেওয়া হলেও, তা বিরোধীদের পছন্দ নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করিয়ে সেখানে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পৌরসভা পরিচালিত করলেই সবথেকে ভালো হবে বলে মনে করছেন সকলে। সেদিক থেকে করোনা পরিস্থিতি যখন কিছুটা হলেও স্বাভাবিক, তখন সেই নির্বাচন করানোর ওপরে এবার সবথেকে বেশি জোর দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে এবার বিরোধীদের নির্বাচন করার পক্ষে জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -