এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপি নেতাদের! অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে তৃণমূল

চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপি নেতাদের! অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, মানুষ যে থালায় খায়, সেই থালায় কখনো নোংরা ফেলে না। কিন্তু যদি স্বাভাবিক নিয়মেই সেই থালা নোংরা হয়ে যায়, তাহলে কি করা যাবে? তখন না সেই থালায় খাওয়া যাবে, না সেই খাওয়ার পাত্রকে অস্বীকার করা যাবে। বর্তমানে ঠিক এরকমই অবস্থা বিজেপি নেতাদের। চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের পরে অনেকেই চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি নেতারা এই আওয়াজ তুললেও, মুখে চীনা দ্রব্য বয়কটের কথা বলে পকেটে চীনের মোবাইল ফোন রেখেছেন। ফলে চীনের সামগ্রী ব্যবহার না করার কথা বলে নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, ভারত চীন সংঘর্ষের পরেই বুধবার কলকাতায় চীনে তৈরি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। আর সেই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় একাধিক বিজেপি নেতাদের। যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ সরকার সহ অন্যান্যরা।

দেখা যায়, মুখে বিরোধীতা করলেও, চীনা মোবাইল ফোন তাদের পকেটে রয়েছে। তারা যেভাবে চীনের সামগ্রী ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে এখন সেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপির শ্যামাপদ মন্ডল এবং অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইচ্ছে থাকলেই দুই করে কোনো জিনিস বাদ দেওয়া যায় না। সেই তালিকায় স্মার্টফোন পড়ে। তবে খুব দ্রুত সেটা বদলাব।” কিন্তু মুখে এক কথা বলে, কাজে আরেকরকম কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুরের বিজেপির লিগাল সেলের সভাপতি স্বরুপ আচার্য বলেন, “আমার ফোন যে চিনের তৈরি, কেনার সময় জানতাম না। ওই মোবাইল আর ব্যাবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এদিকে বিজেপি নেতাদের চীনা ফোন ব্যাবহার নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা অবাস্তব ব্যাপার। তা হলে তো দেশের অর্ধেক মানুষের বাড়ির জিনিস নষ্ট করে দিতে হয়। আমরা চাই, আর কেউ নতুন করে যেন চীনের পন্য না কেনেন।” তবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সাফাই দেওয়া হলেও, তাকে কটাক্ষ করেছে ঘাসফুল শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিনহা বলেন, “বিজেপির কথায় আর কাজে বড্ড অমিল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারই তো দেশের যাবতীয় বড় চিনের সংস্থাকে বরাত দিয়ে রেখেছে। শুধু জেনে বা না জেনে কেনা মোবাইল বদল করে কি লাভ হবে!” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা দ্রব্যের ব্যবহার না করা নিয়ে এখন গর্জন দিচ্ছে বিজেপি নেতারা। তবে তাদের এই গর্জনে তাদের পকেটেই চীনা সরঞ্জাম থাকায় এখন প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। যার জেরে এখন নানা মহলে আক্রমনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!