এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে জিজ্ঞাসাবাদ LPG কান্ড নিয়ে বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে জিজ্ঞাসাবাদ LPG কান্ড নিয়ে বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের


দিল্লির মসনদ এখনো বিজেপির ক্ষমতায় থাকলেও রাজ্যে কিন্তু বিজেপি এখনো তৃণমূলের পেছনের সারিতেই রয়েছে। ফের আসতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। হাতে গোনা আর কয়েকমাসই বাকি। কেন্দ্রের রাশ ধরে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেও একের পর এক দুর্নীতিমূলক কান্ডে নানান সময়ে বিজেপির নাম জড়িয়েছে।  ২০১৭ সালের মে মাসে মোদী সরকারের আবাস যোজনায় আর্থিক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল বঙ্গবিজেপির নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া গতবছরও এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশনের জাতিয়াতির অভিযোগ নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিলো মুরলিধর লেনের কর্তাদের। বিজেপি সরকারের প্রকল্পেই দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে! এ অত্যন্ত লজ্জার দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে। তবে সেই সমস্যা এখনো মেটেনি। ফের বিজেপির অস্বস্তিকে বাড়িয়ে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশনের জাতিয়াতির অভিযোগে জেরা করার জন্য রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালো জোঁড়াসাকো থানার পুলিশ। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,এই দুর্নীতিকান্ডে কারা কারা যুক্ত রয়েছে সে বিষয়ে জেরা করা হয় তাকে। শুধু তাই নয়,কেন বিজেপি-র জেলা কার্যকর্তাদের গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশনশিপ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে বিষয়েও তাকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা। এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তাকে পেশ করতে বলা হয়। পরে প্রয়োজন পড়লে তাকে ফের হাজিরা দিতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত,এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশনের জাতিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য রঞ্জিত মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে কোলকাতা পুলিশ। তাকে জেরা করার পরই সুব্রত বাবুকে তলব করে সিআইডি। এর আগে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকেও একাধিকবার এ ব্যাপারে পুলিশি জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

তবে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশনের বিজেপির বিরুদ্ধে জাতিয়াতির অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এটাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক ঘটনা বলেই দাবী করলেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে শুধুমাত্র বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্ল্যান করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করা হচ্ছে বলেই তৃণমূলের দিকে অভিযোগের অাঙুল তুললেন তিনি।

আরো বললেন,পার্টিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের বিব্রত করার জন্যে দফায় দফায় থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে মামলা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করা হয়নি বলেই অভিমত তাঁর। জানান,এই এলপিজি কেলেঙ্কারি মামলায় বিজেপি নেতাদের জামিনের জন্যে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।

কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলো জেরার প্রয়োজনে থানায় তলব করা হলে যেতে হবে৷ আর সেজন্যেই সুব্রত বাবু এদিন থানায় গিয়েছিলেন। একই বক্তব্য সুব্রত চট্টোপাধ্যায়েরও। জানালেন,”সাক্ষী হিসেবে থানায় ডাকা হয়েছে আমাকে। পুলিশকে সবরকম সহযোগিতা করব।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!