লোকসভা থেকেই তৃণমূলের পতন শুরু হবে – বিস্ফোরক দাবি শীর্ষ বিজেপি নেতার কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 15, 2018 ফের একবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। অনুব্রত-গড়ে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি তোপ দেগে বললেন আগামী লোকসভা নির্বাচন থেকেই তৃণমূলের পতন শুরু হবে। নির্বাচন হয়ে গেলেই দলে দলে তৃণমূল নেতারা জেলবন্দি হবেন। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের জয় নিয়ে কটাক্ষ করে বললেন, “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যারা গামলা গামলা মিষ্টি খেয়েছিল, আমরা তাদের এবার করলা খাওয়াব”। প্রসঙ্গত, এদিন রামপুরহাটে দলীয় জেলা নেতৃত্ত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন সভা শুরুর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাসাঞ্জোর প্রসঙ্গে দুই রাজ্যকে সমঝোতার সূত্রে আসার পরামর্শ দেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখাশোনা করলেও, এটি আসলে ঝাড়খন্ডের মধ্যে অবস্থিত। ফলে পারস্পরিক ঝামেলা থেকে বিরত থেকে নিজেদের মধ্যে ড্যামটি ভাগাভাগি করে নিতে পরামর্শ দেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এরপর সাম্প্রতিককালে ম্যাসাঞ্জোর ড্যামে রং নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যে রং ছিল তাতে অসুবিধা কোথায়? ঝাড়খন্ডের মানুষের একটা স্বাভিমান রয়েছে। এতোদিন ধরে একটা রং ছিল ওখানে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখভাল করার সুযোগ নিয়ে নিজেদের মর্জি মতো নীল-সাদা রং করেছে,লোগো লাগিয়েছে। তাই তাঁরা আপত্তি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই বিতর্কে তাঁর পরামর্শ, “দুই রাজ্যের লোগোই থাক। এটাই তো হওয়া উচিৎ। তা না হলে দুই রাজ্য অর্ধেক করে ভাগ করে নিক। তারপর নিজের নিজের লোগো লাগাক”। এরপর কটাক্ষের ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজ্যসরকার একটি ব্র্যান্ড বের করেছে নীল-সাদা। রেল লাইনের প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে এয়ারপোর্টের দেওয়াল অব্দি সবই জোড় করে জবরদখল করার ফিকির খোঁজে তাঁরা। রাজ্য সরকারের সৌন্দর্যায়ন প্রসঙ্গে রীতিমত কটাক্ষ হেনে তাঁর অভিমত, “সুযোগ পেলেই ওই (নীল-সাদা) রং করে দেয়। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারর তৈরি সৌধকেও রেহাই দিচ্ছেন না তাঁরা”। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিন ঘোষণা হতেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছিলেন যে সেই জেলায় নাকি বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাবেন না। তবুও মহম্মদবাজারের গণপুরে নিরঙ্কুশভাবে জয় হয়েছে বিজেপির – তাই এদিন সেখানে বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে এইভাবেই বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র আক্রমন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। আপনার মতামত জানান -