২০১৯-এ ‘পিসি-ভাইপোর’ জোট নিয়ে বিস্ফোরক ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি-নেতা জাতীয় বিশেষ খবর June 13, 2018 মোদী সরকারের ৪ বছর পূর্ন হতেই লোকসভা ভোটের ঢাকে যেন কাঠি পরে গেল। একদিকে যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী-সরকারকে কেন্দ্রে আনতে সাজো-সাজো রব গেরুয়া শিবিরের অন্দরে, অন্যদিকে তখন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে বিজেপি-বিরোধী বৃহত্তর জোটের পথে সম্মিলিত বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই দেশজোড়া বিভিন্ন উপনির্বাচনে ও কর্নাটকে ভোট পরবর্তী সমঝোতায় নতুন করে হাওয়া লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ফেডারেল ফ্রন্টের পালে। আর এই ফেডারেল ফ্রন্টের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করছে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেখানে ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী জোটের পথে হাঁটতে চলেছেন। এই ‘বুয়া-ভাতিজা’ বা ‘পিসি-ভাইপোর’ জোট বাস্তবে সম্ভব হলে তা যে গেরুয়া শিবিরের ঘুম ওড়াবে তা উত্তরপ্রদেশের একের পর এক উপনির্বাচনেই প্রমাণিত। আর এবার সেই ‘পিসি-ভাইপোর’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য্য। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনের আগেই নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে মায়া-অখিলেশ জোট ভাঙবে। সপা-বসপা জোট অনৈতিক, কেননা এই জোটের কোনো ইস্যু নেই, এজেন্ডাও নেই। এহেন কোন রাজনৈতিক জোটের ভিত শক্ত হতে পারে না। আর কেশবপ্রসাদজির এহেন বক্তব্যের সমর্থন মিলছে জোট নিয়ে মায়াবতীর আচরণে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জোট বাঁচাতে যেখানে অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, জোট বাঁচাতে তিনি যেকোন মূল্য চোকাতে রাজি। কিন্তু সেখানে পরে পাওয়া চোদ্দ আনা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মায়াবতীর দাবি, যদি বসপার সঙ্গে সপার আসন ভাগাভাগি সম্মানজনক শর্তে হয় তবেই তিনি জোটে যাবেন। কি সেই ‘সম্মানজনক শর্ত’? মায়াবতীর কথা অনুযায়ী, সপার উচিত এই সমঝোতাকে জোরদার করতে কিছু কিছু আসনে নিজেদের প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বসপার প্রার্থীদের সমর্থন করা। এখন প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, জোটধর্ম মানতে গিয়ে এই শর্ত অখিলেশ যাদব মেনে নিলেও তাঁর দলের যেসব প্রার্থীরা টিকিট পাবেন না তাঁরা মেনে নেবেন তো? তাঁরা যদি তখন দলবল নিয়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়ান তখন কতটা মজবুত হবে এই জোট? সেক্ষত্রে ‘পিসি-ভাইপোর’ জোট হলেও, আদতে সেই জোটের জন্য পরে থাকবে শুধুমাত্র ‘পিসির’ ভোট, ‘ভাইপোর’ ভোটের রঙ তখন গেরুয়া হয়ে যাবে নাতো? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত এখন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -