এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কুদেব – মুখ খুলে বাড়ালেন অন্য জল্পনা

তৃণমূল নেতার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কুদেব – মুখ খুলে বাড়ালেন অন্য জল্পনা


শোভনবাবু বা বৈশাখীদেবীর দেখানো পথেই এবার নাকি তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন আরেক হেভিওয়েট নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা!এমনি খবর সামনে এসেছিলো। আর এদিন এই নিয়ে মুখ খুলেই ফের অন্য জল্পনা বাড়ালেন শঙ্কুদেব পান্ডা।

ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের দাবি শোভনবাবু, বৈশাখীদেবী আর শঙ্কুদেব পাণ্ডা নাকি আজকেই তৃণমূলে ফিরছেন। আর এমন দাবি করার কারণ হিসাবে তাদের ব্যাখ্যা গতকাল, অর্থাৎ বুধবার এক তৃণমূল নেতা নেত্রীর বাড়িতে শোভনবাবু, বৈশাখীদেবী, ও শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে একত্রে দেখতে পাওয়া। জানা যাচ্ছে, বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে তৃণমূল নেতা নেত্রীর বাড়িতে একত্রে দেখা যায় শঙ্কুদেব পাণ্ডা, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ স্বরূপনগর বাঙ্গলীনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল সদস্য ছন্দা চ‍্যাটার্জি ও তৃণমূল নেতা অনুপ চ‍্যাটার্জির বাড়ির ৮৩ বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে যান তাঁরা।এদিকে এই খবর সামনে আসতেই হৈচৈ পরে যায় রাজনৈতিকমহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবীর সঙ্গেই তৃণমূলে ফিরছেন শঙ্কুদেব পাণ্ডাও ? আর আকজেই ট্রিপল ধামাকা দিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির ?

এইরকম একটি বিতর্কিত জল্পনা সামনে আসায়, এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা নিজে কি বলছেন তা জানার চেষ্টা করা হয় প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে। কিন্তু, উপনির্বাচনের কাজে অসম্ভব ব্যস্ত থাকায় সকাল থেকে বারবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায় না। অবশেষে ঘন্টা তিনেকের চেষ্টার পর ধরা গেল গেরুয়া শিবিরের দাপুটে এই যুব নেতাকে। তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জল্পনা নিয়ে সরাসরি কথা হল এক্সক্লুসিভলি প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার সঙ্গে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ব্যাপারে শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর নিমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার জানা নেই। তবে, তাঁর কোনো জ্ঞাতি বা আত্মীয় হয়ত তৃণমূল করতে পারেন, যিনি হয়ত ওই পূজায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, আমি কোনো তৃণমূল নেতা বা নেত্রীর বাড়ির পুজোতে যায় নি।

কিন্তু, সেখানে তো আপনার সঙ্গে একসঙ্গে শোভনবাবু বা বৈশাখীদেবীকে দেখা গেছে? শঙ্কুদেবের উত্তর, একটি পূজায় গিয়ে দেখি শোভনদা ও বৈশাখীদি রয়েছেন, আমি কি তাহলে মুখ ঘুরিয়ে চলে আসব? সৌজন্য সাক্ষাৎ করব না? তাছাড়া যতদূর জানি, শোভনদা বা বৈশাখীদি এখনও কোথাও সরকারিভাবে বলেননি আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। তাহলে, আমি যে দলটা করি (বিজেপি), সেই দলেরই অন্য দুই নেতা-নেত্রীর সঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হওয়ার মধ্যে অন্যায় কোথায়?

কিন্তু, আপনাকে নিয়ে তো তীব্র জল্পনা, আপনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত যাচ্ছেন? আর তাই শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবীর সঙ্গে এক জায়গায় হাজির ছিলেন আপনি? শঙ্কুদেবের উত্তর, আমাকে নিয়ে ‘প্রি-জাজমেন্টাল’ হবেন না! সময় দিন, সিদ্ধান্ত বদলাবে! কিন্তু, কি সিদ্ধান্ত বদলাবে বা কার সিদ্ধান্ত বদলাবে – তা নিয়ে আর মুখ খুলতে চান নি, গেরুয়া শিবিরের এই হেভিওয়েট নেতা। ফলে, তিনি তৃণমূলে ফেরা প্রসঙ্গে মুখ খুলে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন বলেই আমাদের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!