এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বিজেপি নেতারা কথা শোনেনি তাই কৃষকসভায় এমন অঘটন দাবি ডেকোরেটর্স-এর

বিজেপি নেতারা কথা শোনেনি তাই কৃষকসভায় এমন অঘটন দাবি ডেকোরেটর্স-এর


কৃষি সহায়ক মূল্য বৃদ্ধিসহ একাধিক ইস্যুতে কৃষকসমাজের সঙ্গে সভা করতে মেদিনীপুরে হাজির হয়েছিলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আয়োজন ঠিকঠাকই হয়েছিলো। পরিকল্পনামাফিক চলছিল জনসভাও। মোদীজি ভাষণে গমগম করছিলো সভাক্ষেত্র। হঠাৎ করে এরইমধ্যে ঘটে গেলো এক দুর্ঘটনা! সভাচলাকালীনই দর্শক বসার শামিয়ানা ভেঙে পড়ল। কিন্তু কীভাবে হল এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সভা নির্মাতা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে,এদিন কাঠামোর উপর উঠে পড়েছিলো মাত্রাতিরিক্ত ১০ হাজার জন লোক। এতো লোকের ভার নিতে পারেনি কাঠামোটি। ফলত ভেঙে পড়ে। সভা শুরু হওয়ার পর পরই ওখান থেকে বেরিয়ে আসেন ডেকরেটর্সের এর মালিক রাজীব কুমার সিংহ। যাওয়ার আগে বিজেপি নেতৃত্বদের সতর্ক করে বলে এসেছিলেন যে, কাঠামোর উপর অতিরিক্ত লোক উঠে পড়েছে। ওদেরকে অবিলম্বে ওখান থেকে না নামাতে বিপদ ঘটতে পারে। শেষপর্যন্ত বিপদই ঘটল। বিজেপি নেতারা ‘কথা’ শুনলে এই দুর্ঘটনা হতে না বলই দাবী জানিয়েছেন নির্মাতা সংস্থার মালিক।

এই ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ চাপানউতোরও দেখা যায়,রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মধ্যে। সভাস্থলে কী কী করা উচিৎ ছিল তা নিয়ে বেশ মন কষাকষি চলে তাঁদের মধ্যে। তবে পরে দিলীপ বাবু জানান যে, বাবুল সুপ্রিয়কে তিনি বলেছেন শেষমুহূর্তে পরামর্শ না দিয়ে দুদিন আগে এ ব্যাপারে বললে ভালো হত। ওদিকে বাবুল সুপ্রিয়র এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলেই জানিয়ে দিলেন। এবং এটাও জানান যে তিনি কোনো পরামর্শ দিতেই যাননি। বৃষ্টির জন্যেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে তিনি জানালেন।

প্রসঙ্গত, কোলকাতার বিজেপি দফতরের কাছাকাছিই অবস্থিত জে এন ডেকরেটরের অফিস। মালিক পক্ষের তরফ থেকে জানা গেছে, ১০ বছর ধরে তাঁরা বিজেপির বিভিন্ন সভার মঞ্চ-সহ নানা কাঠামো নির্মান করে আসছেন। কখনো এরকম দুর্ঘটনা হয়নি। কিছুদিন আগে পুরুলিয়ায় অমিত শাহের জনসভার মঞ্চও তাঁরা বানিয়েছিলেন। এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী জনসভার মূল মঞ্চও তাঁদের তৈরি। তবে রাজ্যসরকার তা দেখেই অনুমোদন করেছিলেন। ওই মঞ্চকে রাজ্য শংসাপত্রও দিয়েছিলো। তবে সভাস্থলে দর্শকদের ছাউনি ভেঙে পড়ার ঘটনার তাঁরা রীতিমতো অবাক এবং চিন্তিতও। কার্যত আইন অনুযায়ী,তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত হওয়ার কথা। তবে রাত পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে পুলিশ যোগযোগ না করলেও ঘটনাস্থলে তাঁদের মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানান রাজীববাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!