এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হাঁটতে ক্লান্তি! দাপুটে নেতারা মাঝপথেই “হাওয়া”! কর্মসূচি রূপায়ণে ভরসা বিজেপির টগবগে কর্মীরাই

হাঁটতে ক্লান্তি! দাপুটে নেতারা মাঝপথেই “হাওয়া”! কর্মসূচি রূপায়ণে ভরসা বিজেপির টগবগে কর্মীরাই


তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাটাতে পেরে ওঠেন না অনেকেই। পদযাত্রা হোক কিংবা মিছিল মাইলের পর মাইল পথ হাঁটা তার কাছে যেন কোনো ব্যাপারই নয়। এমনকি প্রখর রৌদ্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হাঁটতে দেখা গেলেও তার মুখে ক্লান্তির ছাপ লক্ষ্য করা যায় না।

তবে এবার সেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে দমানোর জন্য “গান্ধী সংকল্প যাত্রা” কর্মসুচীর অঙ্গ হিসেবে পদযাত্রা করার পরিকল্পনা করলেও সেই পদযাত্রাই যেন কাল হল বিজেপি নেতাদের কাছে। এক্ষেত্রে তারা একেবারে গো-হারা হেরে গেলেন তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকার কাছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

সূত্রের খবর, গান্ধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে শহীদ বেদী থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত প্রায় 15 কিলোমিটার পথ জুড়ে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিজেপি সাংসদ, সেই পদযাত্রায় প্রথম থেকে অংশগ্রহণ করলেও কিছু দূর পথ যেতে না যেতেই তারা সকলেই উধাও হয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত মুখ রক্ষা করতে বিজেপির এই কর্মসূচিতে হাঁটতে দেখা যায় নিচুতলার নেতাকর্মীদেরই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন হিলির শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে এই গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা করেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, মানস সরকার, বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন রায়, বিপ্লব মিত্র সহ অন্যান্যরা। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হলে হিলি থেকে ত্রিমোহিনী পর্যন্ত সেই কর্মসূচি আসতে না আসতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন প্রাক্তন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র। ত্রিমোহিনীতে এসে নিজের গাড়ি করে বাড়ি চলে যেতে দেখা যায় তাঁকে।

এদিকে বিপ্লববাবু চলে গেলেও অন্যান্য নেতৃত্বরা সেই পদযাত্রায় অংশ নিয়ে তিওড় কালীবাড়ি পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। কিন্তু তারপরই সেইভাবে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে থাকা জেলা বিজেপির নেতৃত্বদের কাউকেই দেখতে পাওয়া যায় না। জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, মানস সরকার, রঞ্জন মন্ডল, নীলাঞ্জন রায় সকলেই যেন কিভাবে উধাও হয়ে যান।

তবে নেতৃত্বরা এই কর্মসূচি থেকে উধাও হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত মুখ রক্ষা করেন দলের নিচুতলার কর্মীরাই। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হিলি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা কামারপাড়া পর্যন্ত নিয়ে আসেন কর্মীসমর্থকরা। আর গান্ধী সংকল্প যাত্রার কথা বলে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেও সেই কর্মসূচীতে কিছুটা হেঁটে কেন সেখানে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল না জেলা বিজেপির একটি নেতৃত্বকেও! তা নিয়ে এখন প্রবল প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরমহলে।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, পরিশ্রম করা বিজেপির অভ্যাস নেই। তাই তো সুবিধাবাদী রাজনীতি করে মানুষকে দেখানোর জন্য গান্ধী সংকল্প যাত্রার কথা বললেও কর্মীরা সেই পদযাত্রা করছে। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সেইখানে দেখা যাচ্ছে না। তারা আরামকেদারায় বসে রয়েছেন। কেন এমনটা হল! কেন তারা কর্মসূচি থেকে হঠাৎ করে বেরিয়ে এলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, “অনেকে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে পুরো রাস্তা হাঁটতে পারেননি। আশা করি, আগামী কর্মসূচিতে সকলে সম্পূর্ণ রাস্তা হাঁটবেন।” তবে শুভেন্দুবাবু যাই বলুন না কেন, যেভাবে “গান্ধী সংকল্প যাত্রা” কর্মসূচির প্রথম দিনেই হাটতে গিয়ে ক্লান্তির জন্য বিজেপির জেলাস্তরে প্রথম সারির নেতৃত্বরা কর্মীদের ছেড়ে পালিয়ে গেলেন, তাতে বিজেপির সদিচ্ছা নিয়েই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে প্রবল প্রশ্ন উঠতে শুরু করল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!