ত্রিপুরায় ‘গেরুয়া-বিল্পব’ – তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি, দিশেহারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব জাতীয় বিশেষ খবর April 30, 2018 ত্রিপুরাতে অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে দীর্ঘ বাম জমানার অবসান ঘটিয়েছিল বিজেপি, রাজ্যের ভার তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের তরুণ তুর্কি তথা রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবের হাতে। কিন্তু মাত্র দেড় মাসেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ‘গুগলিতে’ রাজ্যের মানুষ তো বটেই দিশেহারা বিজেপি নেতৃত্ত্ব। রাজ্যের উন্নয়ন আপাতত মাথায়, তিনি মুখ খুললেই একের পর এক হাসির খোরাক তুলে দিচ্ছেন বিরোধীদের হাতে। মাত্র এই কদিনেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের কারিগর সুনীল দেওধর পর্যন্ত ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে দরবার করেছেন। ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে আওয়াজ উঠে গেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পাফে অভিজ্ঞ কাউকে বসানো হোক, অপসারিত হোক বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে আপাতত বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ত্ব ব্যস্ত কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে, কিন্তু পরিস্থিতি যে ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে বুঝছে সবাই। তাই আপাতত তাঁকে দিল্লিতে তলব করে ‘সমঝে দেওয়া’ হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কখনো বলছেন সরকারি চাকরি না খুঁজে গরু পুষলে বেশি লাভ তো কখনো ব্যস্ত মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট খুঁজতে, তো কখনো আবার মহিলাদের ত্বকের রঙে ভারতীয় সৌন্দর্য খুঁজতে, তো কখনো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে অভিজ্ঞতার জন্য! আর তাই সবমিলিয়ে রীতিমত চাপে বিজেপি নেতৃত্ত্ব, কেননা দলীয়স্তরে খবর ত্রিপুরা-মডেলকে দেখিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে পদ্ম ফোটানো এখন পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু যে খেল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দেখাচ্ছেন, তাতে বঙ্গ-বিজয় তো দূর অস্ত, মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজতে হচ্ছে। তাই দলীয় স্তরেই উপদেশ যাচ্ছে তাঁর কাছে যে মুখটা বন্ধ রেখে নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে উন্নয়নটা করার চেষ্টা করুন। তবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং কতখানি তাঁর ‘বিপ্লব’ বন্ধ রাখবেন সেটাই এখন দেখার! আপনার মতামত জানান -