এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দুবছর পুরোনো মামলায় অর্ণবকে গ্রেপ্তার করতেই ‘জরুরি অবস্থার’ কথা তুলে আক্রমণে বিজেপি নেতারা

দুবছর পুরোনো মামলায় অর্ণবকে গ্রেপ্তার করতেই ‘জরুরি অবস্থার’ কথা তুলে আক্রমণে বিজেপি নেতারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ দু বছরের পুরোনো এক মামলায় গ্রেফতার করা হলো রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে। ঋণ শোধ না করা, আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্রের সিআইডি। কিছুদিন ধরেই আইনি জটিলতার মধ্যে ছিলেন তিনি। রিপাবলিক টিভি সম্পাদককে গ্রেপ্তার করতেই, এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনার বিরুদ্ধে যেমন প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তেমনি এই ঘটনার সমালোচনা করলেন কঙ্গনা রানাউতের মতো অভিনেত্রীও।

রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানালেন যে, যারা সংবাদ-মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কিছু বলে থাকেন, এখন অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারি নিয়ে কেন নীরবে আছেন তাঁরা? তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এরা নীরবে থেকে সংবাদপত্রের অবদমনকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, এমনও হতে পারে অর্ণব গোস্বামীকে তাদের পছন্দ নয়, অর্ণব গোস্বামী তাদের কাছে চক্ষুশুল। কিন্তু, এখন যদি তারা মুখ বুজে থাকেন, তবে তারা ফ্যাসিবাদকেই সমর্থন জানাবেন। এরপর তাদের সঙ্গেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তবে তারা কী করবেন? এই প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানালেন যে, মহারাষ্ট্রে এভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এমন আচরণ কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণ করলেন। জরুরি অবস্থার সময় এভাবে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হতো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা আরো একটি বারের জন্য গণতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলে দিল। তার দাবি, অর্ণব গোস্বামীর উপর এরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর আক্রমণ। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে, তাঁর জরুরি অবস্থার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের এভাবে স্বাধীনতা হরণের বিরোধিতা করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, এই ঘটনা জরুরী অবস্থার ছায়া মাত্র। যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তাদের সকলকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার কথা জানালেন তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস জানালেন যে, ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু, সেই মানসিকতা এখনও রয়ে গেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সমর্থনে একই ধরনের মানসিকতা দেখানো শিবসেনা সরকার। সমস্ত সরকার বিরোধী কণ্ঠকে রোধ করে দেয়া হচ্ছে। উল্লিখিত শীর্ষনেতৃত্ব ছাড়াও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অমিত মালব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে আরম্ভ করে বিজেপির প্রায় সমস্ত নেতাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করলেন।

দক্ষিণপন্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত কেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল। মহারাষ্ট্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গেল তাঁকে। সরকারের প্রতি তিনি একাধিক প্রশ্ন করলেন। তার প্রশ্ন, এমন করে আর কত জনের মুখ বন্ধ করে রাখা হবে? আর কত জনের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখবে সরকার? কতজনের ঘর ভাঙবে সরকার? তিনি জানিয়েছেন যে, সরকার যতই মুখ বন্ধ করবে ততই বেশি করে বিরুদ্ধ প্রচার শুরু হবে। এর পূর্বেও অনেক শহীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরও দমানো যায়নি। এভাবে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষেদাগার করলেন বিজেপি শিবির ও অভিনেত্রী। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখা হয়নি। আশ্চর্যজনকভাবে নীরব রয়েছে সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!