এবার বাড়িতে বসেই অভিনব প্রতিবাদে শাসকদলের ঘুম ওড়াতে চলেছেন বিজেপি নেতারা! কলকাতা রাজ্য April 25, 2020 বর্তমানে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য এটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে রাজনীতিবিদরা সমস্ত রকম কর্মসূচি বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু মহামারীর সময় রাজনীতি বন্ধ থাকবে বলে আশা করা হলেও, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এখন রাজ্য প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছে বিরোধীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজ্যে লকডাউন ঠিকমত মানা হচ্ছে না। কখনও এটাও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রেশনে চাল বিলি নিয়ে দুর্নীতি শুরু হয়েছে। কখনও দিলীপ ঘোষ, আবার কখনও বা সায়ন্তন বসু, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতৃত্বদের। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিজেপি সরব হলেও, তারা সেভাবে রাস্তায় নামতে পারছে না। কেননা লকডাউন চলছে। তবে লকডাউন প্রক্রিয়া শেষ হলে তারা রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এমতাবস্তায় এবার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাড়িতে বসেই দলের নেতাকর্মীদের প্রতীকী অবস্থান করার আবেদন জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন দিলীপবাবু বলেন, “রাজ্য করোনা নিয়ে তথ্য গোপন করছে। প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর হাতের বাইরে চলে গেছে। রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিজেপি নেতাদের ঘরবন্দী করে রাখা হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে রবিবার 26 এপ্রিল বিজেপির নেতা কর্মীরা নিজের বাড়িতে প্রতীকী অবস্থান করবেন। মৌন প্রতিবাদ করবেন তারা।” আর দিলীপ ঘোষ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই আবেদন জানানোয় এখন তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে তৃণমূলকে মাস্টার স্ট্রোক দেওয়ার চেষ্টা করলেন। বর্তমানে লকডাউন থাকার কারণে বাইরে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না। তাই নেতাকর্মীদের বাড়িতে বসে থেকেই প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর কথা বলে রাজ্য প্রশাসনকে আরও চাপে ফেলে দিলেন। মানুষের কাছে তারা যেমন প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে, তারা বাড়িতে বসেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে ভারতীয় জনতা পার্টি নিজের মত করে প্রতিবাদ জানাবে, তাও বোঝানোর চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।এখন লকডাউনের মাঝে বিজেপির এই অভিনব প্রতিবাদে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম কতটা ওড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -