এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নির্বাচন কমিশনের ‘সুপ্রিম’ চাল আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ রাজ্য-বিজেপির

নির্বাচন কমিশনের ‘সুপ্রিম’ চাল আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ রাজ্য-বিজেপির


গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে সিপিএমের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দিতেই জল্পনাটা প্রবল হয়েছিল, আর আজ তাই বাস্তব রূপ নিল। গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দেয় মনোনয়নের শেষ সময়, অর্থাৎ গত ২৩ শে এপ্রিল বিকেল ৩ টে পর্যন্ত রাজ্য সিপিএমের তরফে যতগুলি মনোনয়ন জমা পড়েছে সবগুলিকে গ্রহণ করতে হবে এবং তার মধ্যে যেগুলি বৈধ মনোনয়ন সেগুলিকে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে হবে। গতকাল রায় বেরোনোর পরেই, গুঞ্জন ছিল এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেননা এই ই-মনোনয়ন বৈধতা পেলে, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে পড়বে এবং কোনো অবস্থাতেই আগামী ১৪ মে একদফাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আর সেই গুঞ্জনকে মান্যতা দিয়ে আজ অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু রাজ্য-বিজেপি আগেভাগেই এইরকম কিছু একটা হতে পারে অনুধাবন করে দিল্লিতে দলের দুই রাজ্যস্তরের শীর্ষনেতাকে পাঠিয়ে দেয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দুই বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার সকালেই দিল্লি গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ই-মনোনয়ন নিয়ে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করেন। অর্থাৎ, ই-মনোনয়ন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা হলে তার শুনানি তাঁদের অজ্ঞাতসারে হতে পারবে না। সেই মামলার শুনানিতে তাঁদেরকেও ডাকতে হবে। সূত্রের খবর, বিজেপির পাশাপাশি বামফ্রন্টও একই পথে হাঁটছে। ফলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একপেশে শুনানির আর কোনো সম্ভাবনাই রইলো না, উল্টে বিজেপির বা বামফ্রন্টের আইনজীবীরাও এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিশদে ব্যাখ্যা করতে পারবেন কোন পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। তার থেকেও বড়কথা, বিজেপি ও বামফ্রন্টের এই ‘ক্যাভিয়েট দাখিল’ করার ফলে শুনানির সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা, মনোনয়ন পর্বে অশান্তি ও কেন্দ্রীয়বাহিনীর দাবি – এইসব বিষয়গুলিও উত্থাপিত হতে পারে। ফলে, নতুন করে বাড়তে পারে পঞ্চায়েত মামলার জট এবং রাজ্যের যে শাসকদলের ‘অশান্তি’ নিয়ে বিরোধীদের এত অভিযোগ তা নিয়ে নতুন করে শুনানি শুরু হলে আরো অস্বস্তি বাড়তে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!