এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তিন রাজ্যের হার ও আসন্ন লোকসভায় বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে মুখ খুলে চমকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

তিন রাজ্যের হার ও আসন্ন লোকসভায় বিজেপির সম্ভাব্য আসন নিয়ে মুখ খুলে চমকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি, কিন্তু কেন্দ্রের মসনদ ঠিক কারা দখল করবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরাতে সমস্ত বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো এক ছাতার তলায় এসে তৈরি করেছে বিরোধী মহাজোট।

তাঁদের দাবি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁরাই কেন্দ্রের মসনদ দখল করবে। এমনকি তাদের এই আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে তখনই, যখন সম্প্রতি দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য বারেবারেই দাবি করা হয়েছে যে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর কখনই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করবে না। তাই 2014 মত ফের 2019 এ তাঁরাই কেন্দ্রের মসনদ দখল করবে। কিন্তু এ বিষয়ে ঠিক কী বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

সূত্রের খবর, গতকাল বছরের শুরুর দিনেই এক সাক্ষাৎকারে তিন রাজ্যের পরাজয় সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ছত্রিশগড়ে বিজেপি হেরেছে। কিন্তু বাকি দুই রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হয়েছে। কেন আমাদের এই দুর্বলতা তা সমীক্ষা করতে হবে।” তবে এর জেরে কর্মীদের মনোবল হারিয়ে ফেলা উচিত নয় বলে নিজের দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি।

কিন্তু যখন অনেকেই বলছেন, যে এই দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখেই আগামী দিনের লোকসভা নির্বাচনের চিত্র পরিষ্কার হয়ে গেল, তখন আদৌ কি সেই লোকসভায় কেন্দ্রের মসনদ দখল করতে পারবে বিজেপি? এদিন এই প্রসঙ্গে কৌশলী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীর ভরসা রয়েছে আমাদের উপর। জনতার মন বোঝার ক্ষমতা থাকলে কেউ পাটিগণিতের হিসেব করত না।”

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই যেভাবে একের পর এক নোট বাতিল, জিএসটির মতো পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষকে অসুবিধের সম্মুখীন করেছে মোদি সরকার বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা, সেখানে বিরোধীদের এই অভিযোগকে উত্তীর্ণ করে ঠিক কতটা সাফল্য পাবে বিজেপি? এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নোট বাতিলের সুফল আগামী দিনে পাওয়া যাবে। আর এই সিদ্ধান্তগুলো হঠাৎ করে ঘোষণা হয়নি, এক বছর আগেই সকলকে সতর্ক করেছিলাম। নোট বাতিলের জন্য দেশজুড়ে সততার হাওয়া বইছে‌।” কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, নোট বাতিলের জেরে দেশের অর্থনৈতিক গতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার! এ নিয়ে কি বলবেন?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রশ্নের উত্তরের নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ট্রেন যখন লাইন পরিবর্তন করে ঠিক তখনই ট্রেনের গতি কমে যায়। সেইরকম নোট বাতিলের পর দেশের আর্থিক গতি কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু পরে আবার তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” তবে কেন্দ্র সরকারের এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরছি দেশ থেকে একের পর এক শিল্পপতিরা যেভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, তা কি আদৌ সুখকর?

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই তো নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ারা পালিয়ে গিয়েছে। আগের সরকার থাকলে ওরা পালাত না। তবে চিন্তা নেই, সকলকেই ফেরত আনা হবে।” বিরোধীদের অভিযোগ, যে সাধারণ মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, সেই তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারন মানুষের, যা নিয়ে প্রায়শই বিরোধীদের খোচার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্র সরকারকে। কেন এই মূল্যবৃদ্ধি?

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যবিত্তরা কারো দয়ায় বেঁচে থাকে না। তাদের জন্যই আমরা মূল্যবৃদ্ধি কমিয়ে দিয়েছি। মেডিকেলে আসন বৃদ্ধি, বিমানের টিকিট এই সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে মধ্যবিত্তের জন্যই।” বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য মানুষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোও এখনো পর্যন্ত রামমন্দির গড়ে না ওঠায় বিজেপির ওপর অনেকটাই ক্ষুব্ধ। তাই সেই রামমন্দির ঠিক কবে হবে?

এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “তিন তালাকের অর্ডিন্যান্স সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই এসেছে। তাই রামমন্দির নিয়েও আদালতের রায়ের পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।” সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বছরের প্রথম দিনের সাক্ষাৎকারে এসেই এক দিকে বিরোধীদের কটাক্ষ, আর অন্যদিকে নিজের সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে 2019 র লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!