বিজেপির হারে খুশি,নিজেদের ফলে উদ্বিগ্ন দিশেহারা বাম শিবির রাজ্য June 3, 2018 লোকসভা ভোটের আগে দেশের বিভিন্ন নির্বাচন উপনির্বাচনে বিজেপি বারবার ঘায়েল হচ্ছে। লোকসভা বিধানসভার মোট আসনে ১৫ টি কেন্দ্রে হয়েছে উপনির্বাচন। তাতে বিজেপি পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। এই ফলাফলে বামফ্রন্ট খুশি হলেও নিজেদের নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই তাঁদের। সম্প্রতি এ রাজ্যের মহেশতলা নির্বাচনেও বিজেপি শক্তি কমেছে কিন্তু বাম শিবির তাকে টেক্কা দিতে পারছে না। সগর্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রেখেছে বিজেপি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের আবহেও বিজেপি নিজের জায়গা ঠিক রেখেছে। ওদিকে বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই নামলেও বামের ভোট কমছে। এজন্য বেশ কপালে ভাঁজ পড়তে দেখা গেলো বাম শীর্ষ নেতৃত্বদের। এরকম পরিস্থিতির কারণ জানতে প্রশ্নও ছোঁড়া হয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কাছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক সূত্রের খবর বলছে, রাজ্যের বাম নেতাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলো বামফ্রন্ট। তাতে লাভের লাভ হয়নি কিছু। পরিসংখ্যান বলছে, বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট ৪২% থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭%। বোঝাই যাচ্ছে আস্তে আস্তে পিছনে সরছে বামফ্রন্ট। বিরোধী দল হিসাবে দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমেছে তাঁরা। ইয়েচুরি মহেশতলা উপনির্বাচনে বামেদের ফলাফল দেখে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া এদিন পলিটব্যুরোর এক সদস্য একরকম অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন যে হিংসা এবং সন্ত্রাসের রাজনীতির জেরেই বামেদের এই অবস্থা।জনসংযোগে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। মানুষের সাথে যোগাযোগ না করতে পারলে ভোট পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু মহেশতলা উপনির্বাচনে তো হিংসার কোনো নজির চোখে পড়ে নি তবে কেন বামেদের এই অবস্থা? এরকম প্রশ্ন উঠতেই ইয়েচুরি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, শাসকশক্তিকে পুলিশের মদতপুষ্ট হয়ে মাঠে নেমেছে তাই এরকম হচ্ছে। তবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক আশা করে আছেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনকে নিয়ে। তিনি বিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী জোট হোক বা না হোক,মানুষের জোট কেউ ঠেকাতে পারবে না। এরকম পরিস্থিতিতে বামেরা কীভাবে নিজেদের অবস্থানের অভিমুখ জয়ের দিকে ঘোরাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে নড়াচড়া শুরু হয়ে গেছে বাম শিবিরের অন্দরে। এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। আপনার মতামত জানান -