এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড় জয় পেল তৃনমূল, অস্বস্তিতে বিজেপি!

বড় জয় পেল তৃনমূল, অস্বস্তিতে বিজেপি!

এবার নিজেদের দলের এক সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বড়সড় চাপে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির এক বিজেপির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। যার ফলে কংগ্রেসের সমর্থনে থাকায় পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির পরিচালনা করলেও, এই দল বদলের ফলে তৃণমূল তা দখল করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 28 আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েত সমিতিতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল 18, বিজেপি 13 এবং কংগ্রেস একটি আসন পায়। আর এরপরই কংগ্রেসের প্রার্থী রামজীবন মাহাতো বিজেপির সঙ্গে জোট করার পরেই পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করে। পরবর্তীতে অনেক আইনি জটিলতার পর হাইকোর্টের নির্দেশে গত 2019 সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন রামজীবন মাহাতো।

অন্যদিকে সহ-সভাপতি যায় বিজেপির দখলে‌। তারপর বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু রবিবার এই পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে চলে এল। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এখানে চরম বিপাকে পড়ল বলেই মনে করছে একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন মানবাজার ধর্মশালায় “মমতা বাংলার গর্ব” এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিজেপি সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিন বিজেপি সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মানবাজারের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু। কিন্তু কেন তিনি দল বদল করলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির সদস্য সুমতিদেবীর স্বামী গাধীরাম মাহাতো বলেন, “রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে থাকলে উন্নয়ন করা যাবে। আমরা এলাকাবাসীর কাছে উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” অন্যদিকে তাদের দলের এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পাল্টা সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, সারা রাজ্যেই তৃণমূল প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দলের সদস্যদের টানার চেষ্টা করছে। তবে পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা নিয়ে আসার আগেই রাজ্যে পালাবদল ঘটে যাবে।” যদিও বা বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “সুমতিদেবীর স্বামী আগে তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। মাঝখানে অভিমান করে অন্য দলে গিয়েছিলেন। ঘরের লোক ঘরে এসেছে। লোভ, প্রলোভনের কথা আসছে কেন! ওদের সঙ্গে প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে।”

সব মিলিয়ে এবার বিধানসভার আগেই বিজেপির সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!