এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজকের বিজেপির কর্যনির্বাহীর বৈঠকে কি হলো জেনে নিন

আজকের বিজেপির কর্যনির্বাহীর বৈঠকে কি হলো জেনে নিন

আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২২ টি আসন নিজেদের ঝুলিতে পোড়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে মোদী বাহিনী। কদিন পরেই নির্বাচন হতে চলেছে আর তাই এবার কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই বঙ্গ নেতাদের উপরে ভরসা না রেখে নিজের সৈনিকদের মাঠে নামাতে চাইছেন বলেই জানা গেছে।

আর তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে এবার অন্য সব রাজ্যের মতো বঙ্গেও ৩০ জনের একটি দল থাকবে বলে আজ বিজেপির পদাধিকারী বৈঠকে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান। শুধু এই নয় জানা যাচ্ছে আজকের এই বৈঠকে আরো যা আলোচনা হয়েছে তাহলো –
কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শিবপ্রকাশ মহাশয় নির্দেশ দিলেন যে, বুথ স্তর পর্যন্ত ঘরে ঘরে মানুষের কাছে গিয়ে NRC কে প্রাঞ্জল ভাবে ব্যখ্যা করতে হবে। যে দুটো বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে তা হল শরণার্থী ও অনুপ্রবেশ চিহ্নিতকরণ ।

আজকের বৈঠকে মুকুল রায় প্রস্তাব রাখেন যে “ভোটার তালিকার কাজে আর এক মুহুর্তও দেরী না করে নেমে পড়তে হবে । লোকসভা ভিত্তিক ও বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি এখনই গড়ে তোলার প্রস্তাব দিচ্ছি” আর প্রায় একমাসব্যাপী সারা বাংলায় রথযাত্রার কর্মসূচী কিভাবে পালিত হবে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এদিন দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে যে ডিসেম্বরের ৩,৫ ও ৭ তারিখে বিভিন্ন স্থান থেকে জনসংযোগ কল্পে ও গনতন্ত্রের দাবীতে রথযাত্রা বেরোবে । ৩রা ডিসেম্বর তারাপীঠ, ৫ই ডিসেম্বর কোচবিহারের মদন মোহন মন্দির থেকে বেরোবে।৭ই ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে বেরোবে । প্রতিটি বুথ পরিক্রমা করা হবে।।

জানা যাচ্ছে এই দলের মাধ্যমেই আগামী লোকসভায় বঙ্গের নির্বাচনী পক্রিয়ার সমস্তটাই পরিচালনা করবে বিজেপি। কোথায়,কিভাবে কে কি কাজ করবে,কি ভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচার কার্য চালানো হবে তাও ঠিক করবে এই দল সাথেই সমস্ত কিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়  অমিত শাহের কাছে তুলে ধরবেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে তবে কি সত্যই আর বঙ্গের বিজেপি নেতাদের উপর কোনো ভাবেই ভরসা রাখতে পারছেন না অমিত শাহ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত,কয়েকদিন আগেই মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙা থেকে নির্দলীয় কর্মীদের মৃত্যু নিয়ে দলীয় নেতাদের কাজকর্মে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। হাতের কাছে একাধিক বড় ইস্যু পেয়েও কেন বিজেপি বড়সড় আন্দোলনে নামেনি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
জানা যাচ্ছে অমিত শাহের এই দলে থাকবেন এই দলের ম্যানেজমেন্টের নেতারা। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই বিজেপি রণকৌশল তৈরী করে ত্রিপুরাতে ক্ষমতায় এসেছিলো। এখন দেখার বাংলায় কি হয়।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!