এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মাঠ না পেয়ে ধানক্ষেতে সভা – তা বাঁচাতেও রাত জেগে ‘পাহারা’ গেরুয়া কর্মীদের! গণতন্ত্র-বাঁচাও যাত্রা নিয়ে শোরগোল

মাঠ না পেয়ে ধানক্ষেতে সভা – তা বাঁচাতেও রাত জেগে ‘পাহারা’ গেরুয়া কর্মীদের! গণতন্ত্র-বাঁচাও যাত্রা নিয়ে শোরগোল

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করতে ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের 3 প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই রথ যাত্রার সূচনা হবে আগামী 7 ডিসেম্বর কোচবিহারে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের।

জানা গেছে, এখানে একটি সভাও করবেন তিনি। কিন্তু বিজেপির এই শীর্ষ নেতার সভা জেলার ঠিক কোথায় হবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রবল ধন্ধে ছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, অমিত শাহের সভার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন মাঠের অনুমতি চাইলেও কোনো অনুমতি মেলেনি। তাই অবশেষে কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভার ঝিনাইডাঙ্গায় দলেরই এক কর্মীর ধানক্ষেতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির।

বর্তমানে সেখানে ধান কাটার কাজ চলছে। তাই এই সভার ফলে সেই মাঠটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। এদিকে সভার আগে এই জায়গায় যাতে কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেজন্য এখন থেকেই বিজেপির তরপে প্রায় প্রতিনিয়ত 10 জন করে কর্মী রাত জেগে সেই মাঠ পাহারা দিচ্ছেন।

সূত্রের খবর, যে সমস্ত কর্মীরা এই মাঠ পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন তারা সেখানে কোনো বিপদের আশঙ্কা দেখলেই সাথে সাথে নেতৃত্বকে জানাবেন। এদিকে 7 তারিখ এই রথযাত্রার কর্মসূচি উপলক্ষে আগামী 5 তারিখ থেকেই কোচবিহারে আসতে শুরু করবেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির এক ঝাঁক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা।

ইতিমধ্যেই কোচবিহারে একটি হেলিপ্যাড তৈরির চিন্তা ভাবনা করার পাশাপাশি শহরের বেশিরভাগ হোটেলই বিজেপির নামে বুক করা হয়েছে। এদিকে প্রশাসনের তরফে কোনরূপ মাঠ না দেওয়ায় কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, “সভার জন্য আমরা জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরের শুক্রবার আবেদন করেছি। কিন্তু আবেদনের রিসিভ কপি এখনও তারা জমা দেননি। সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব, যদি প্রশাসন অনুমতি না দেয় তাহলে আদালতে যাব। তবে এই সভার জন্য এক দলীয় কর্মীর মাঠ রাত জেগে পাহারা দেবে বিজেপি কর্মীরা।”

তাহলে কি এই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এর সভার জন্য দলীয় কর্মীর এক ধানক্ষেতকেও টার্গেট করতে পারে শাসকদল? এই প্রশ্নের উত্তরে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আসলে কোচবিহার শহরে বিজেপির মিটিং করার মতো লোক নেই জেনেই ওরা এরকম নাটক করছে। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল বেরোলে আর ধানখেত নয়, ওদের নদীর চরে গিয়ে মিটিং করতে হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশাসন সভার অনুমতি দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। কিন্তু এবার প্রশাসনিক সাহায্য না পেয়ে দলীয় কর্মীর ধানক্ষেতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির জন্য সভামঞ্চ তৈরি এবং তৃণমূলের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে যেভাবে 10 জন বিজেপি কর্মী তা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাতে অন্য রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কোচবিহার জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!