এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির একের পর এক সভা আটকাতে গিয়ে আখেরে কি বিজেপিকে বাংলায় বাড়তেই সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূল?

বিজেপির একের পর এক সভা আটকাতে গিয়ে আখেরে কি বিজেপিকে বাংলায় বাড়তেই সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূল?


রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য প্রশাসন মিলে বিরোধীদের সভা করতে দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে রাজ্যের বিরোধী দলেরা। তবে সিপিএম ও কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সভা-সমিতি করতে যত না বাধা দিয়েছে শাসক দল, তার থেকে বেশি রাজ্যের বর্তমানে বেড়ে ওঠা বিরোধী দল বিজেপির বিভিন্ন সভা সমিতিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করছেন রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

উত্তরপ্রদেশের বিজেপির হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শিবরাজ সিং চৌহান – প্রায় প্রত্যেকের সভার অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে শাসকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দুটি সভা ছিল উত্তর প্রদেশের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের।

কিন্তু সভার জন্য হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না দেওয়ায় সেইখানে সভাই করতে আসতে পারেননি যোগী আদিত্যনাথ। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছে বিজেপি। এইভাবে বিজেপিকে সভা করতে না দেওয়ায় আদতে সেই বিজেপিরই লাভ হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

যার কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন যে বিগত বাম আমলে এই ভাবেই রাজ্যে সভা ও সমিতি করতে চাইলে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তথা তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠত সেই বামেদের বিরুদ্ধে। আর তখনই বামেদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে নিজের স্থান দখল করে নিত তৃনমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই দিক থেকে সেই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে যেভাবে বর্তমানে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা সভা করাতে অনুমতি পাচ্ছে না তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিজেপি অনেকটাই লাভবান হতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কিছুটা হলেও আঁচ করা গেছে গেরুয়া ঝড়।

আর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই গেরুয়া ঝড় যাতে আর বাড়তে না পারে সেজন্যই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের সভা করাতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন মূরলীধর লেনের কর্তারা। কিন্তু বিজেপিকে সভা করতে না দিয়ে হিতে বিপরীত কিছু হবে না তো এবার সেই আশঙ্কাতেই ভুগছে একাংশ!

কেননা গণতন্ত্রে বিরোধী হোক বা শাসক! প্রায় প্রত্যেকেরই সভা-সমিতি করার অধিকার রয়েছে। তাই সেদিক থেকে যদি গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ঠিক হয় তাহলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে সভা-সমিতি করতে না দিয়ে আদতে তো সেই বিজেপিরই গুরুত্ব দিন কে দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।

তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক কি হয়, বিজেপিকে সভা করতে না দেওয়ায় তৃণমূলের ভোটব্যাংকে আদৌ ধ্বস নামে কি না তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী লোকসভা ভোটের ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!