এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে বিজেপি সাংসদ! মহারাষ্ট্র নিয়ে নতুন করে বাড়ছে জল্পনা!

শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে বিজেপি সাংসদ! মহারাষ্ট্র নিয়ে নতুন করে বাড়ছে জল্পনা!


শনিবার মাঝরাতে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছে দেশবাসী। ঘটনায় স্তম্ভিত রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত যেখানে ঠিক ছিল মহারাষ্ট্রের শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করতে চলেছেন, সেখানে রাতারাতি কি করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করলেন, সে নিয়ে সাধারণের মনে নানান প্রশ্ন। কিন্তু এরই মাঝে বিজেপির সাথে হাতে হাত মিলিয়েছেন সকলের অলক্ষ্যে এনসিপি’র পরিষদীয় দলনেতা অজিত পাওয়ার। এরফলেই এনসিপি দলে এখন ভাঙ্গনের অবস্থা। উপস্থিত এই অবস্থায় এনসিপি চিফ শরদ পাওয়ারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিজেপি সংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে।

শনিবার ভোরে বিজেপি মন্ত্রিসভার দখল নেওয়ায় রীতিমতো বেকুব হয়ে গেছে বিরোধী দলগুলি। সমস্ত কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও রাতের কয়েক ঘন্টার মধ্যে কিভাবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেল, তা নিয়ে চূড়ান্ত হতবাক সবাই। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানতে পারল, এই প্রেক্ষাপট পতনের মূল কান্ডারি কে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত শোরগোল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে মারাঠা স্ট্রং ম্যান শরদ পাওয়ারের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। এরপরেই শরদ পাওয়ার সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে। তার আগেই এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।

অন্যদিকে, বিজেপি সংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণেই তিনি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই শরদ পাওয়ার ও সঞ্জয় কাকাড়ে পারিবারিক সূত্রে একে অপরের সাথে পরিচিত। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগেই সঞ্জয় কাকাড়ে শরদ পাওয়ারকে সাবধান করেছিলেন অজিত পাওয়ার সম্পর্কে। তিনি জানিয়েছিলেন, যে কোন মুহূর্তে অজিত পাওয়ার দল ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন। মহারাষ্ট্রের ভোট পর্ব মেটার পর বিজেপির তরফে এনসিপির সাথে যোগাযোগ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন এই সঞ্জয় কাকাড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সঞ্জয় কাকাড়ে আগে অবশ্য এটাও জানিয়েছিলেন, শিবসেনার 45 জন বিধায়ক দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কারণ তাঁরা চান শিবসেনা বিজেপি জোট সরকার গঠন করুক। ইতিমধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। শিবসেনা বিজেপি জোট ভেঙে গেছে। অন্যদিকে অজিত পাওয়ারও এনসিপি ভেঙে বেরিয়ে বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দখল করতে সাহায্য করেছেন‌। এই পরিস্থিতিতে সঞ্জয় কাকাড়ে এবং শরদ পাওয়ারের ব্যক্তিগত বৈঠক রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে। তবে সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কাকাড়ে এবং শরদ পাওয়ারের সাথে ছিলেন এনসিপির পক্ষ থেকে জয়ন্ত পাটিল। সম্প্রতি পরিষদীয় দলনেতা অজিত পাওয়ারকে বরখাস্ত করার পর তার জায়গায় আনা হয়েছে জয়ন্ত পাটিলকে।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ করা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যেমন – রাষ্ট্রপতি শাসন কখন উঠে গেল? কখন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার গঠনের দাবি জানালেন? সমর্থন জানানো বিধায়কদের তালিকা কখন জমা করা হলো? চুপিচুপি সমর্থন কেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখন সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে সেদিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!