এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিতে যোগ দিয়ে অবশেষে জেলায় ফিরলেন মিহির, জেলাজুড়ে ক্রমশ উর্ধমুখী তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

বিজেপিতে যোগ দিয়ে অবশেষে জেলায় ফিরলেন মিহির, জেলাজুড়ে ক্রমশ উর্ধমুখী তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যার পরেই উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আর বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে গিয়ে পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখানোর পর বৃহস্পতিবার কোচবিহারে ফিরলেন সেই মিহিরবাবু। যেখানে রাতে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে আসেন তিনি। আর তারপরেই তাকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় পাশাপাশি

তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কেন বিজেপিতে যোগদান করলেন, সেই ব্যাপারেও ব্যাখ্যা দেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন বিধায়ক। এদিকে মিহির গোস্বামী তৃনমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করে জেলায় ফিরতে না ফিরতেই বিভিন্ন জায়গা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আর বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে যেভাবে এই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জেলা তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, তাতে এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 13 নভেম্বর শীতলকুচির রথেরডাঙায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। যেখানে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে গত 22 নভেম্বর মাথাভাঙ্গার রাজারহাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে। এছাড়াও সিতাই বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ এখন রীতিমত রণক্ষেত্রের আকার নিতে শুরু করেছে। একাংশ বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। আর তারপর থেকেই এই এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল। এখন বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপি এবং তৃণমূল রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলাকালে নিতে শুরু করেছে। তাই অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন যদি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে এখানে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “গত লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে গোটা জেলায় বিজেপি সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের দলের কর্মীদের খুন করা থেকে শুরু করে পার্টি অফিস কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে ওরা। কিন্তু জেলার মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের নিয়েই বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। একুশের বিধানসভা ভোটের পর ওদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের কর্মীদের আক্রমণ করছে। তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। তুফানগঞ্জে আমাদের দলের এক কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মানুষ সবটাই দেখেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর উত্তর দেবে।” কিন্তু সেই বিধানসভা নির্বাচন আসতে এখনও বেশ কিছুটা সময় দেরি আছে। কিন্তু তার আগেই যেভাবে দুই রাজনৈতিক দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে, তাতে এলাকার শান্তি প্রতিমুহূর্তে বিঘ্নিত হচ্ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!