এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি! সংখ্যালঘু সব্জি বিক্রেতাদের বয়কটের নিদান বিজেপি বিধায়কের!

লকডাউনেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি! সংখ্যালঘু সব্জি বিক্রেতাদের বয়কটের নিদান বিজেপি বিধায়কের!


ভারতবর্ষ সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ। কিন্তু এখানে “ধর্ম” শব্দটি যুক্ত হওয়ার আগে “সর্ব” নামক শব্দটি যুক্ত হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ এই দেশে যেমন হিন্দুর বাস, ঠিক তেমনই মুসলমান, খ্রিস্টান সর্ব জাতির বাস। সকলে মিলে শান্তির ভারতবর্ষে একতার বার্তা বহন করে চলেছে। বর্তমানে সেই ভারতবর্ষ করোনা সংকটে ভুগছে। প্রত্যেকেরই চিন্তা, কবে দেশ থেকে এই মহামারী বিদায় নেবে। কিন্তু এই মহামারী সময়কালেও এবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠল এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে।

যার ফলে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস যাতে বেশি না ছড়ায়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। মানুষ যাতে বাইরে না বেরন, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ তাকে মান্যতা দিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন না। আর এই সময়ই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় উত্তরপ্রদেশের দেওয়রিয়া জেলার বিজেপি বিধায়ক সুরেশ তিওয়ারির।

যেখানে 14 সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক কথা বলেন এই বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “একটা কথা সকলে মাথায় রাখুন। সর্বসমক্ষে আমি এই কথা জানিয়ে রাখি, মিয়াসদের সবজি কেনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।” আর একজন বিধায়ক হয়ে কেন এই ধরনের কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি বিধায়ক, তা নিয়ে এখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে এআইএমআইএমের নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। এদিন তিনি বলেন, “ওই বিধায়কের কথায় কেউ আমল দেবেন না। নিজের আখের গোছাতেই তিনি নিজের নির্বাচন ক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তাই এই ঘটনা বড় করে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী নাগমা।

এদিন তিনি বলেন, “এই রোগের কবলে যে কেউ পড়তে পারেন, এটা ঘৃণ্য রাজনীতি করার বা বিদ্বেষ ছড়ানোর সময় নয়। সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।” কিন্তু তিনি কেন হঠাৎ এই ধরনের কথা বললেন? মুসলিমদের সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে তিনি কি আরও বিতর্ক সৃষ্টি করলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বিজেপি বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি আমার নির্বাচন ক্ষেত্রে রাস্তায় বেরিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় তারাই আমার অভিযোগ করেছেন, মুসলিম বিক্রেতারা সবজি বিক্রির সময় তাদের গায়ে থুতু ছিটিয়ে দিচ্ছে। তখন আমি জানাই, এক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তারা যেন মুসলিম বিক্রেতাদের এড়িয়ে চলেন। জনগণ যদি একজন বিধায়কের কাছে এই সমস্যার কথা জানায়, তাহলে একজন বিধায়কের কিই বা করার থাকে! আমি কি কোনো ভুল কথা বলেছি! এই বিষয়টিকে নিয়ে কেন এত বড় করে দেখা হচ্ছে!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যত এই সমস্ত কথা বলা হবে, তত বিতর্ক বাড়বে। সময়টা বড় ভয়াবহ‌। আর এই সময় যদি সাম্প্রদায়িক কোনো কথা বা রাজনৈতিক তরজা চলতে থাকে, তাহলে তা দেশবাসীর পক্ষে অত্যন্ত অমঙ্গল হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কেননা করোনার আক্রমণ ধর্ম দেখে হয় না। ফলে এই সময় করোনার বিরুদ্ধে জিততে গেলে একতাই মূল শক্তি হবে। আর তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মত ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!