এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে “মোদী মঞ্চ”, পৌরভোটের আগে দ্বন্দ্ব চরমে!

বিজেপিতে “মোদী মঞ্চ”, পৌরভোটের আগে দ্বন্দ্ব চরমে!


লোকসভায় বিজেপির ফলাফল দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল। যে দলটা বাংলায় গত 2014 সালের মোটে দুটি আসন পেয়েছিল, সেই দলটিই 2019 সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে বাংলা থেকে দখল করেছে 18 টি আসন। কিন্তু লোকসভায় ভালো ফল করার পরে তাদের নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্বের শুরু হয়ে যায়। এখন তাদের পৌরসভা নির্বাচনের আগে বড় কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে বারেবারেই বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে এই দ্বন্দ্ব বন্ধ করবার জন্য দেওয়া হচ্ছে কড়া বার্তা। কিন্তু কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না।

এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে নদীয়া দক্ষিনে বিজেপির প্রাক্তন নেতা কর্মীদের দ্বারা গঠিত হল “মোদি মঞ্চ।” যেখানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়া উচিত, সেখানে তা না করে পৃথকভাবে “মোদি মঞ্চ” গঠন করে বিজেপি প্রাক্তন নেতাকর্মীরা এক ছাতার তলায় আশায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, দলে এখন প্রাক্তন নেতাকর্মীদের গুরুত্ব নেই। আর তার ফলেই সেই প্রাক্তন সকলে মিলে মঞ্চ গঠন করে নব্য বিজেপি নেতা কর্মীদের বিপাকে ফেলতে চাইছেন। কিন্তু কে কে আছেন এই নয়া মোদী মঞ্চে?

জানা গেছে, এই মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, অবিভক্ত নদীয়া জেলার যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি অলিপ বিশ্বাস, অবিভক্ত জেলা বিজেপির সভাপতি সুপ্রভাত বিশ্বাসের ছেলে তথা 2016 সালের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সুজিত বিশ্বাস, নদীয়া দক্ষিণের কিষান মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদক বাদল বর্মন, বিজেপির কার্যকর্তা প্রতাপ রায়, স্বপন পাল, শহর মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি তারক চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। কেন তারা এই পৃথক মঞ্চ গঠন করলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে অলিপ বিশ্বাস বলেন, “পুরনো কর্মীরাই এই মঞ্চ গড়ে তুলেছি। পার্টির প্রসারই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তবে জেলা থেকে আয়োজিত কর্মকাণ্ডে আমাদের ডাকা হয় না।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

একইভাবে এই ব্যাপারে সুজিত বিশ্বাস বলেন, “এখনকার জেলা কমিটি আমাদের মত যাদের ব্রাত্য করে রেখেছে, তাদের নিয়ে মঞ্চ তৈরি করেছি। দলকে শক্তিশালী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা দলকে ভালোবাসি। তাই দলের হয়ে প্রচার করাই আমাদের উদ্দেশ্য।” একই কথা উঠে এসেছেন কিষান মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদক বাদল বর্মনের গলাতেও। আর প্রাক্তন কার্যকর্তাদের এই কথাতেঈ স্পষ্ট যে তারা এমনি এমনি এই মোদি মঞ্চ গঠন করেনি‌। দলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাদের যে ক্ষোভ রয়েছে, তা তাদের এই মঞ্চ গঠনের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু কেন পুরনোদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে না! এভাবে চলতে থাকলে পৌরসভা নির্বাচনে কিভাবে সাফল্য পাবে বিজেপি!

এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “ভারতের সব নাগরিকের মোদির জয়গান করার অধিকার আছে। তবে এর সঙ্গে বিজেপির সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।” কিন্তু অশোকবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এই মঞ্চের সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, যে সমস্ত ব্যক্তি এই মঞ্চের সঙ্গে জড়িত, তারা যে বিজেপির প্রাক্তন বলিষ্ঠ সদস্য, তা কি করে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব অস্বীকার করবেন! যদি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে, তাহলে কেন বারবার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও সেই দ্বন্দ্ব বিজেপি নেতারা মিটিয়ে নিচ্ছেন না! দিনের শেষে এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে নদীয়া জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!