বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা, অভিযোগ প্রমাণে হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড কলকাতা বর্ধমান রাজ্য June 25, 2019 লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদল একত্রিত হয়ে বিজেপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। তবে বারে বারেই শাসকদলের পক্ষ থেকে অবশ্য তা ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করা মামলায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। কিন্তু হঠাৎ কেন এই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করল, তা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন! পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া গ্রামের শেখ সুরাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতেই বেরুগ্রামের দিঘিরপাড়ে দোকানের দরজা বন্ধ করার সময় বছর 58 গোপাল পালের মৃত্যুকে ঘিরে চরম রাজনৈতিক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়। আর এরপরই এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় এবং বিজেপির তরফেও সেই একই অভিযোগ করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ঘটনার পরই খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে একজন সাংসদ রাস্তায় বসে গাড়ি আটকে দিচ্ছেন, অপমৃত্যুকে খুন বলে বেড়াচ্ছেন। সেজন্যই হয়তো শেখ সুরাবুদ্দিন সেই সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।” অন্যদিকে তিনি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কেন! এদিন এই প্রসঙ্গে শেখ সুরাবুদ্দিন বলেন, “একটা অপমৃত্যুকে ঘিরে বিজেপি রাজনীতি করছে। ওসির নামে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। উস্কানিমূলক কথা বলা হচ্ছে। সেই জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” এদিকে যে সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে, তা যদি আদালতে প্রমাণ হয় তাহলে সংসদের সর্বোচ্চ 7 বছর কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এতসব সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে তিনি নড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের পুলিশ তো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। এতে আমাদের কোনো ভয় নেই। আমরা গোপালদার খুনের রহস্য উদঘাটন করার জন্য আন্দোলন করব। ওরা যা খুশি করুক।” আর বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশ যোগের কথা বলা হলেও তা অস্বীকার করে এই ব্যাপারে পাল্টা জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “পুলিশ আমাদের কথা কেন শুনবে! আর কেনই বা আমাদের কথা শুনে কেউ অভিযোগ করবেন! পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।” সব মিলিয়ে এবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে মামলা হলেও সেই মামলার ভবিষ্যৎ ঠিক কি হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -