দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি সাংসদ! তীব্র বিতর্ক গেরুয়া শিবিরে কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য November 15, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে তারা। আর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি এখন নিজেদের দলের মধ্যে যেমন স্বচ্ছতা আনতে চাইছে, ঠিক তেমনই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে। ইতিপূর্বেই নানা ঘটনায় বিজেপি নিজেদের শৃঙ্খলার প্রমান দিতে অনেককেই দল থেকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু বিজেপির জেলা নেতৃত্ব থেকে থেকে রাজ্য নেতৃত্ব বরখাস্ত করলেও সেই বরখাস্ত হওয়া নেতাদেরই দলের সাংসদদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে যেমন চাপে রয়েছে বিজেপি, তেমনই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ছে বিতর্ক। জানা যায়, বুধবার বিকেলে রানাঘাটের রেলের জায়গায় অবৈধ জবরদখল ঢুকতে জিআরপি দ্বারস্থ হন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর নিজের এই কর্মসূচির বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। আর সেই ছবিতেই ছড়িয়ে পড়ে বিতর্ক। যেখানে দেখা যায় যে, কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে বহিস্কৃত রাখাল চন্দ্র সাহা সেই বিজেপি সাংসদের পাশে রয়েছেন। বস্তুত, বেশ কিছুদিন আগে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায়কে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে দুই বিজেপি কর্মী রাখালচন্দ্র সাহা এবং রাকেশ সাহার বিরুদ্ধে। আর এরপরই তাদের দুইজনকে বিজেপির তরফে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বুধবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদের পাশে যেভাবে সেই বহিস্কৃত বিজেপি নেতা রাখালচন্দ্র সাহাকে দেখা গেল, তা নিয়ে বিজেপির শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কেন বিজেপি সাংসদ তার পাশে দলের বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে ঘুরছেন! তা নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া সেই রাখালচন্দ্র সাহা বলেন, “আমি এক জায়গায় কাজে গিয়েছিলাম। ট্রেন থেকে নেমে সংসদ সদস্যকে দেখি, জিআরপি অফিসের দিকে যাচ্ছেন। তাই আমি তার পিছনে পিছনে যাই। এর থেকে বেশি কিছু নয়।” কিন্তু তিনি কেন এই ধরনের কাজ করলেন! কেন বহিস্কৃত নেতার সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছাড়লেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমি কোনো দলীয় কাজে যাইনি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে দলের কোনো পতাকা ছিল না। আর যে কাজে গিয়েছিলাম, এটা দলীয় কাজ নয়। সরকারি অনুষ্ঠানে কে কোথায় গিয়েছে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।” এদিকে এই প্রসঙ্গে নদীয়া দক্ষিণের সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বলেন, “রাখালচন্দ্র সাহাকে রাজ্য বিজেপি দল থেকে বহিষ্কার করেছে। তবুও মাননীয় সংসদ সদস্য যখন তাকে নিজ দায়িত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন এই বিষয়টি তিনিই বলতে পারবেন। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।” বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যখন বিজেপি তাদের শৃঙ্খলা নিয়ে বড়াই করে, তখন দলের তরফে বহিষ্কার করা নেতাকে নিয়ে দলীয় সাংসদের এই ঘুরে বেড়ানোটা কি শৃঙ্খলার পরিপন্থী নয়! মানবেন্দ্রবাবুকে হেনস্থা করা নেতা বহিস্কৃত হয়েও যদি সাংসদের সঙ্গে ঘোরেন, তাহলে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল আরও বাড়তে শুরু করবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আপনার মতামত জানান -