এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির জেলা কমিটিতে জায়গা পেলেন না স্বয়ং সাংসদ, জোর বিতর্ক, সাথেই জল্পনা!

বিজেপির জেলা কমিটিতে জায়গা পেলেন না স্বয়ং সাংসদ, জোর বিতর্ক, সাথেই জল্পনা!

ক্ষমতায় আসতে গেলে দলের ঐক্যবদ্ধ ভাব যে জরুরি, তা হয়ত এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। মন্ডল কমিটি থেকে বুথ সভাপতি, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই বিজেপিতে যখন গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিচ্ছে, তখন বারেবারেই দলকে শৃঙ্খলা পরায়ন হওয়ার বার্তা দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আর এবার বিজেপি সভাপতি বনাম সাংসদের লড়াই প্রকাশ্যে চলে এল।

অভিযোগ, নতুন পুরুলিয়ার জেলা কমিটিতে জায়গাই পেলেন না পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। যা নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক। বস্তুত, গত রবিবার পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী 21 জনকে নিয়ে নতুন পুরুলিয়া জেলা কমিটি ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, সেই জেলা কমিটির তালিকায় নাম নেই পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর। অতীতে তিনি পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও, নতুন কমিটিতে সাংসদ হয়েও কেন তিনি জায়গা পেলেন না! তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে জ্যোতির্ময়বাবু এতদিন যে পদ সামলাচ্ছিলেন, সেই পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঝালদা 1 মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি শংকর মাহাতোকে। জানা গেছে, এই শঙ্করবাবু সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি যে এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, সেই এলাকায় দলকে ভালো ফল করিয়েছিলেন। তাই সেদিক থেকে লোকসভায় ভাল পারফর্মেন্সের জন্য তাকে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া হল বলেই মনে করছে একাংশ।

তবে সাংসদ হিসেবে কেন জায়গা পেলেন না জ্যোতির্ময়বাবু! তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “নতুন কমিটিতে 17 জনের নাম রয়েছে। বাকি চারজনের নাম রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে তালিকায় ঢোকানো হবে। কাজের যোগ্যতার বিচারে এই কমিটি তৈরি হয়েছে। যারা ভালো কাজ করেছেন, সংগঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যেসব নেতার ওপর ভর করে দল এতদিন চলেছে, সেই বর্ষীয়ান নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

এদিকে জ্যোতির্ময়বাবুর জেলা কমিটিতে না থাকা প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, “সাংসদ নিজেই অব্যাহতি চেয়েছেন। তার সঙ্গে আলোচনা করেই কমিটি হয়েছে।” এদিকে এই ব্যাপারে সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে ফোন করা হলেও, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে একাংশ বলছেন, সাংসদ হয়ে জ্যোতির্ময়বাবুর কাজের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। তাই এখন জেলা সংগঠনে তার পক্ষে সময় দেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই সেদিক থেকে তাকে জেলা কমিটিতে রাখা হয়নি।

অন্যদিকে আরেক অংশ বলছেন, জ্যোতির্ময় বাবু রাজ্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন। তাই তাকে জেলা কমিটিতে রাখা হয়নি। তবে যে যাই বলুন না কেন, ভেতরে কোনো সমস্যা না হলেও, পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কমিটিতে সাংসদের না থাকা নিয়ে ঘরে বাইরে গুঞ্জন কিন্তু চরমে উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!