লুকিয়ে থাকা নিজামুদ্দিন ফেরতদের খোঁজ দিলেই নগদ 11 হাজার পুরস্কারের ঘোষণা বিজেপি সাংসদের জাতীয় April 27, 2020 করোনার মত ভয়াবহ ভাইরাসকে আটকাতে প্রথম পর্যায়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতবর্ষ। আর এই লকডাউনের মধ্যে দিয়েই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাসকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। যাতে সাফল্যও মিলেছিল। কিন্তু সেই সাফল্য একধাক্কায় আটকে যায় সরকারি নির্দেশনামাকে উপেক্ষা করে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে জমায়েতকে কেন্দ্র করে। গোটা দেশে এই সমাবেশ সমালোচনার শিকার হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হয়েছিল যে, যে বা যারা এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন, তারা নিজেদের চিকিৎসা করিয়ে নিন। নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে রাখুন। কিন্তু তা না করে অনেক জায়গাতেই এই সমাবেশে যোগ দেওয়া অনেক সংখ্যালঘু মানুষ বাড়ি ফিরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে ক্রমশ বাড়ছিল ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত বেশকিছু মানুষ এই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েও নিজেদের মতো করে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে ভারতের পরিস্থিতি যখন কিছুটা আয়ত্তে আসছে, তখন এই মানুষগুলোর জন্য যাতে বেগতিক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য নয়া ঘোষণা করলেন বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কুশাওয়া। যেখানে এই বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন যে, তবলিগি জামাত বা অন্যন্য যারা ট্রাভেল হিস্ট্রি লুকিয়ে রেখেছেন, তাদের যদি কেউ খোঁজ দিতে পারে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে 11000 টাকা আর্থিক পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর বিজেপি সাংসদের এই ঘোষণায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। যখন কোনোভাবেই বাইরে থেকে আসা কিছু মানুষ এবং নিজামুদ্দিন থেকে ফিরে আসা কিছু মানুষকে আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না, তখন বিজেপি সাংসদের এই ঘোষণা কাজে দেবে বলেই মনে করছে একাংশ। সূত্রের খবর, এদিন উত্তরপ্রদেশের সালেমপূর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কুশাওয়া বলেন, “তবলিগি জামাতের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এমন কিছু মানুষ অথবা যারা বিদেশে গিয়েছিলেন ও তথ্য গোপন করে রেখেছেন, প্রশাসনকে জানাননি, তবে টেস্ট না করেই এখানে বসবাস করছেন, এই ধরনের মানুষদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করতে হবে। যে এদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারবে, তাদের 11 হাজার টাকা নগদ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে।” বিশেষজ্ঞরা একদিকে বলছেন, এখনও নিজামুদ্দিন যোগের বেশ কিছু মানুষকে প্রশাসনের খুঁজে না পাওয়াটা নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার। কিন্তু, যেভাবে বিজেপি সাংসদ এঁদের খোঁজ পেতে অর্থনৈতিক পুরস্কার করলেন – তাতে নতুন করে ধর্মীয় বিভাজনের বিতর্ক মাতা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন কোনদিকে যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -