এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আবার ত্রাণ বিলি করতে বাধা বিজেপি সাংসদকে! পুলিশ জোর করে ঢুকিয়ে দিল বাড়িতে! সরগরম উত্তরবঙ্গ

আবার ত্রাণ বিলি করতে বাধা বিজেপি সাংসদকে! পুলিশ জোর করে ঢুকিয়ে দিল বাড়িতে! সরগরম উত্তরবঙ্গ

করোনা ভাইরাসকে দূরীভূত করা যখন সকলের কাছে প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, ঠিক তখনই বারবার শাসকদলের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। রাজ্যের বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মহামারীর এই সময় যখন সাধারণ মানুষকে তাদের জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য করতে যাচ্ছেন, তখন পরিকল্পনামাফিক তাদের আটকে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

অর্থাৎ সাধারণ মানুষের কাছে যাতে তাদের জনপ্রতিনিধিরা পৌঁছতে না পারেন, তার জন্যই পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগ বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বিধায়ক থেকে সাংসদ ত্রান বিলি করতে গেলে বাধার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ত্রান বিলি করতে যাওয়ায় আটকে দিল প্রশাসন।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তবে রামপুরের কাছে পুলিশ তার গাড়ি আটকে দেয়। আর এরপরই গাড়ির বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে নিরাপত্তা সহকারে তাকে তার বালুরঘাটের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন। আর এই ঘটনা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও গত 23 তারিখের দিকে রওনা দিয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকাতেই তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। আর এরপরই তাকে কেষ যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্তবাবু। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সকলের ক্ষেত্রে নিয়ম এক। তাই কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।

এক্ষেত্রে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ কেন যেতে পারছেন, আর তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কেন যেতে পারছেন না! তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে বালুরঘাটের মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জি সুকান্ত মজুমদারকে কোয়ারেন্টাইনের নোটিশ ধরিয়ে দেন। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি 8 থেকে 10 জনকে নিয়ে লকডাউন আইন অমান্য করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

প্রশাসনের অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পরেও, এদিন রীতিমতো নিয়ম ভেঙে গঙ্গারামপুরে ত্রাণ বিলি করতে যাচ্ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ‌। তাই তাকে আটকানো হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে প্রশাসনিক ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “পুলিশের অভিযোগ আগের দিন সরকারি নিয়ম ভেঙে 8-10 জনকে নিয়ে আমি ত্রান বিলি করেছি। চারিদিকে এত সিসিটিভি ফুটেজ আছে। পুলিশ প্রমাণ করুক, এত লোক নিয়ে বেরিয়ে আমি ত্রান বিলি করেছি। এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি সাংসদ পদ ছেড়ে দেব। না হলে আমাকে ঘরে বন্দি করে রাখা যাবে না। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি। তাদের দেখভালের অধিকার সংবিধান আমাকে দিয়েছে। এক মাস আগে আমি দিল্লি থেকে ফিরে এসেছি। 14 দিন নিজেই নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছিলাম। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারি, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”

বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে প্রশাসনের এখন একটাই কাজ, বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিরা যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারে। আর তাই সুকান্তবাবুর মত বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া আটকাতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। যদিও বা শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পাল্টা দাবি, আইন সকলের ক্ষেত্রেই সমান।

এক্ষেত্রে বিজেপি, তৃণমূল ব্যাপার নয়। প্রশাসন আইনের রক্ষাকর্তা। তাই আইন আইনের পথেই চলবে। আর শাসক-বিরোধী তরজার মাঝে যেখানে করোনার মত ভয়াবহতা গোটা বাংলাকে গ্রাস করছে, সেখানে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের কেন আটকানো হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!