এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির মুকুলের সঙ্গে লড়াই তৃণমূলের মহুয়ার! কে জিতবে! জোর জল্পনা

বিজেপির মুকুলের সঙ্গে লড়াই তৃণমূলের মহুয়ার! কে জিতবে! জোর জল্পনা

 

আগামী 25 নভেম্বর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। বস্তুত, 2016 সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তারপর যতদিন গিয়েছে, ততই সেখানে নিজের ইমেজ বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তবে লোকসভা নির্বাচনে সেই মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়ায় তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।

লোকসভায় বিজেপির বাংলায় কিছুটা ভালো ফল করায় এবার তারা উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর কাছ থেকে এই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে আনতে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে হেভিওয়েট নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তবে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিমলেন্দু সিংহ রায়কে।

যেখানে এই করিমপুরে ফের জয় আনতে হাড়মাস এক করে খাটছেন এখানকার ভূতপূর্ব বিধায়িকা মহুয়া মৈত্র। দলের তরফে বিভিন্ন নেতাদের কাজে লাগানোর বার্তা দেওয়া হলেও মহুয়াদেবী তাতে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীরা করিমপুরে এসে প্রচার করে গেছেন।

মহুয়া মৈত্রর দখলে থাকা এই কেন্দ্র নিজেদের দখলে আনতে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় করিমপুরকে পাখির চোখ করেছেন। জানা যায়, তৃণমূলে থাকতে এই নদীয়া জেলাকে মুকুল রায়ের দ্বিতীয় বাড়ি বলা হত। ফলে তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ায় তার যে সংগঠনিক ক্যারিশমা এখনও নষ্ট হয়ে যায়নি, তা অতীতের অনেক ঘটনাতেই প্রমাণ পাওয়া যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই সেদিক থেকে নদীয়ায় বিজেপি নেতা হিসেবে মুকুল রায় জয়প্রকাশ মজুমদারকে জয়লাভ করাতে যেভাবে উদ্যোগী হয়েছেন, তাতে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র তার সাথে পেরে উঠবেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের হয়ে ফিরহাদ হাকিম এবং ব্রাত্য বসুরা প্রচারে আসলেও গোটা ব্যাপারটি দেখভাল করছেন মহুয়া মৈত্র।

কলকাতা থেকে দলের অন্যান্য নেতাদের প্রচারে লাগবে কিনা, সেই ব্যাপারে জানানো হলেও তাতে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব পোষণ করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। বরঞ্চ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, কৃষ্ণনগরের জন্য কোনো চিন্তা করতে হবে না। তবে যেখানে মুকুল রায়ের মতো বিজেপির শক্ত সাংগঠনিক নেতা রয়েছেন সেখানে মন্ত্র তার সাথে পেরে উঠবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

একাংশ বলছেন, বর্তমানে তৃণমূল এই কেন্দ্রে প্রচার করলেও সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক তাদের দিকে না আসাতে তারা অনেকটা বিপাকে পড়তে পারে। কেননা এখানে এবার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে একজন সংখ্যালঘু মুখকে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে সেই সংখ্যালঘুদের একটা বিরাট অংশ যদি বাম- কংগ্রেসের দিকে চলে যায়, তাহলে অত্যন্ত চিন্তার কারন হতে পারে তা ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে। তাই সেদিক থেকে হিন্দুভোট যদি বিজেপিতে চলে যায়, তাহলে গেরুয়া শিবির এখানে শেষ হাসি হাসতে পারে। আর যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয়, তাহলে মহুয়া মৈত্রের নেতৃত্ব নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, ঠিক তেমনই বিজেপির মুকুল রায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যে অত্যন্ত কঠিন, তাও প্রমাণ হয়ে যাবে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

তবে তৃণমূলের একাংশ বলছেন, অতীতে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে মহুয়া মৈত্র সাংসদ হওয়ার আগেও তার কাউকে প্রয়োজন হয়নি। তিনি নিজের বুদ্ধিমত্তা দ্বারা জয় নিশ্চিত করেছেন। তাই এবারও তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে বিমলেন্দু বাবুকে জয়লাভ করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে করিমপুর উপহার দেবেন বলে দাবি মহুয়া মৈত্রর ঘনিষ্ঠদের। সব মিলিয়ে নানা জল্পনা কল্পনার মাঝে শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্স খোলার পর বিজেপি-তৃণমূল প্রার্থী অপেক্ষা, মহুয়া মৈত্র নাকি মুকুল রায়ের জয় হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!