এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধ, পরে মাংস সহকারে থানায় ভুরিভোজ বিজেপি নেতা কর্মীদের! সমালোচনার ঝড়!

বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধ, পরে মাংস সহকারে থানায় ভুরিভোজ বিজেপি নেতা কর্মীদের! সমালোচনার ঝড়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টসম্প্রতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে পুরাতন হেমতাবাদের বিজেপির বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। যে ঘটনা নিঃসন্দেহে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে দেবেন্দ্রনাথবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে 12 ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল গেরুয়া শিবির।

আর এই বনধকে সফল করতে বিজেপির পক্ষ থেকে রাস্তায়ও নামা হয়েছিল। কিছু দলীয় বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি প্রতিবাদ করতে গিয়ে যেভাবে ভুরিভোজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কর্মীরা, তাতে নিঃসন্দেহে সমালোচনা শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। জানা যায়, এদিন জলপাইগুড়ি টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামা হয়। আর সেখানেই বেশকিছু বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে তাদের জলপাইগুড়ি টাউন থানায় নিয়ে আসা হলে দুপুর গড়াতেই ওই বিজেপি কর্মীদের খিদে পেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। ফয়েল‌ প্যাক করে দেওয়া হয় খাসির মাংস এবং ভাত। যা খেয়ে দুপুরের ক্ষুধা নিবারণ করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। এখানেই প্রশ্ন, বিজেপি নাকি দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ! কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পরেও যেভাবে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আপ্যায়ন করা হলো এবং তাতে রসিয়ে রসিয়ে সেই আপ্পায়ন উপভোগ করলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা, তাতে তাদের মনে আদৌ কোনো শোকের চিহ্ন দেখা গেছে কিনা, তা নিয়ে বড়সড় সংশয় রয়েছে।

যেখানে বনধকে সফল করতে তারা রাস্তায় নামলেন এবং তাদের আরও বেশি করে প্রতিবাদ করা উচিত, সেখানে বিধায়কের মৃত্যুর পর তারা এভাবে ভুড়িভোজে মজে গেলেন কেন? এতে কি ভুল বার্তা গেল না? এই প্রসঙ্গে বিজেপি মজদুর জেলার মোর্চার সভাপতি মানস মুস্তাফি বলেন, “গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয় আপনারা দুপুরে কি খাবেন! আমরা বলি, খাসির মাংস আর গরম ভাত খাব। পুলিশের পক্ষ থেকে তার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের আপ্যায়নে আমরা খুব খুশি।”

আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে, শোকে আচ্ছন্ন হলে কি কেউ মাংস ভাত খেতে পারে?  এতে তো বিজেপি সম্পর্কে আরও ভুল বার্তা গেল মানুষের কাছে। তাহলে কি গেরুয়া শিবির শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ, একথা প্রমাণ করতে রাস্তায় নেমেছিল! আদতে তারা কেউই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবিত নয়! আর তাই কি বিজেপি নেতা কর্মীদের থানায় বসে মাংস ভাতে মশগুল থাকতে দেখা গেল!

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে তারা শোকস্তব্ধ বলে বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও, থানায় বসে বিজেপি নেতা কর্মীদের মাংস ভাতে ডুবে থাকার ঘটনা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!