বিহার নিয়ে চরম সিদ্ধান্তে এলো বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত জাতীয় December 23, 2018 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে প্রস্তুত হচ্ছে বিরোধী দলগুলো, ঠিক তখনই সেই বিরোধী মহাজোটকে কাবু করতে ঠিক কে তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে বিরোধী মহাজোটের সম্ভাবনাকে ভেস্তে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এমনকি বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিরোধী মহাজোটের কোন শরিক কত আসনে লড়বে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে যখন এই বিরোধী মহাজোটের সম্ভাবনাকে ভেস্তে দিতে উদগ্রীব হয়ে উঠছেন কেন্দ্রের মোদি-শাহ জুটি, ঠিক তখনই বিভিন্ন রাজ্যে আসন সমঝোতার ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হওয়ায় একের পর এক নেতা এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে বিরোধী মহাজোটে নাম লেখানোয় প্রবল অস্বস্তিতে তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সম্প্রতি বিহারের উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল এনডিএ ছেড়ে বিরোধী মহাজোটে নাম লিখিয়েছেন। যেখানে অনেকেই মনে করছেন যে, সম্মানজনক আসন না ছাড়াতেই এই এনডিএ জোট ত্যাগ করেছেন কুশওয়াহা। এদিকে কুশওয়াহার এই এনডিএর জোট শরিক থেকে বেরিয়ে আসার পরই বিহারের সম্মানজনক আসন পাওয়ার জন্য বিজেপির ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছেন রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি এইভাবে বিভিন্ন শরিক দলেরা এনডিএ ছাড়তে শুরু করে তাহলে তো আদতে ক্ষতি হবে বিজেপিরই। তাই এবারে বিহারের এই সমস্যা মেটাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেখানে আসন নিয়ে একটা দফারফা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, পূর্বঘোষনা মত বিহারের সমসংখ্যক আসনেই লড়বে সেখানকার ক্ষমতাসীন দল নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং বিজেপি। অন্যদিকে 6 টি আসন ছাড়া হয়েছে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বিহারে 40 টি লোকসভা আসন রয়েছে। যার মধ্যে রামবিলাস পাসোয়ানের দল লড়বে 6 টিতে অপরদিকে বাকি 34 টির মধ্যে বিজেপি 17 এবং জেডিইউ 17 টি আসনে লড়বে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না বিজেপির। কেননা এই বিহারে একের পর এক শরিক দল যেভাবে বিরোধী মহাজোটে নাম লেখাচ্ছেন তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এমনিতেই অনেকটা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাই যে সমস্ত জোট শরিকরা রয়েছেন তাদের মন জুগিয়ে চলাই মূল চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই আসন বন্টনেও সকলকে খুশি রাখতে চাইলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -