এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করার পেছনে মমতার অনুপ্রেরণা? বিস্ফোরক বাবুল, চাপে তৃণমূল!

বিজেপি নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করার পেছনে মমতার অনুপ্রেরণা? বিস্ফোরক বাবুল, চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পরেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা যোগদান করতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যার জেরে ঘরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি আসানসোলে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে ঘাসফুল শিবির। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতারা যোগ দিতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

আর এই পরিস্থিতিতে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসে বিজেপি নেতা কর্মীদের যোগদানের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা রয়েছে বলে দাবি করে বসলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে কার্যত ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে বোমা ফাটাতে দেখা গেল তাকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, রবিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তিনি লেখেন, “তৃণমূল ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে, সেইসময় বিজেপি তার কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি. এটাও বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একটি বড় কারণ। আমরা সোওয়া দুই কোটি মানুষের সমর্থন পেয়েছি। মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে পরাজিত করেছেন। যারা বিজেপিতে থাকার, তারা বিজেপিতে আছে, ছিল, থাকবে।আবার লড়বে। আবার জিতবে। ভয় দেখিয়ে জোর করে বিজেপি কর্মীদের যোগ দেওয়ানো হচ্ছে তৃণমূলে। আর এমনটা করা হচ্ছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ সরাসরি এই দলবদলের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধন রয়েছে বলেই বোঝানোর চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল বলেই দাবি করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে বিজেপি যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা দল ছাড়ার কারণে কিভাবে সংগঠন ধরে রাখা যাবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। তবে তার মধ্যেও যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, তারা কখনই দল পরিবর্তন করবে না বলে জানাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে।

আর এর মাঝেই আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গলায় সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই যোগদান শুরু হয়েছে বলে কার্যত তৃণমূল নেত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!