এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার, চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে !

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার, চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত রবিবার রাতে শোরগোল পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। টিটাগরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ প্রাণ হারালেন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। গত রবিবার রাতে ১ ডজনেরও বেশি গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল তাঁর দেহ। তাঁর হত্যার তদন্তের ভার গতকাল সোমবার দুপুরে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে দেয়া হলো। বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল একসময় ব্যারাকপুরে ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একসময় তিনি ছিলেন সিপিএমের সদস্য, পরবর্তীকালে তিনি যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে, তারপর বিজেপিতে যোগদান। ইতিপূর্বেও তাঁর উপর চারবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

গতকাল সোমবার সিআইডির ডিআইজি প্রণব কুমার বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান। এরপর সিআইডির গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি করেন। সেই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ, বেশ কিছু তথ্য বিশ্লেষণের পর গোয়েন্দারা ওই ঘটনায় সন্দেভাজন আততায়ীর খোঁজ পান। পরে পুলিশের হাতে আসে ঘটনার মূল সন্দেহভাজন। দুটি বাইককেও গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছেন।

শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর খুনের তদন্ত করতে গিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। যাদের নাম মহম্মদ খুররম ও গুলাব শেখ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যাকাণ্ডে রাজনীতির পরিবর্তে কাজ করেছে পুরনো শত্রুতা। শত্রুতার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, বলে পুলিশের দাবি। তবে এই ঘটনার রাজনীতি জড়িত আছে বলেই বিজেপি নেতাদের দাবি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুরনো শত্রুতার কারণেই মহম্মদ খুররম বিজেপি নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়। ব্যবসাদার খুররম এই কাজে পেশাদার শুটার গুলাব শেখকে নিযুক্ত করে। সূত্রের খবর বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল ও ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররমের মধ্যে দীর্ঘকালের শত্রুতা আছে। মহম্মদ খুররমের বাবা সিপিএম সদস্য ছিলেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। যে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে মণীশ শুক্লর নাম। গোয়েন্দারা মনে করছেন, পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতেই মণীশ শুক্লকে হত্যা করিয়েছে মহম্মদ খুররম।

তদন্ত সূত্র আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা হলো আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর দেহরক্ষী ঘটনার দিন ছুটি নিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন যে, যেদিন দেহরক্ষী থাকতেন না সেদিন নিজের পিস্তল সঙ্গে রাখতেন মণীশ শুক্ল। কিন্তু রবিবার তাঁর পিস্তল তাঁর সঙ্গে ছিল না। এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন যে, গত ছ’মাস আগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটএর কাছে তাঁর পিস্তলের লাইসেন্স যাচাই করতে দেয়া হয়েছিল। তাঁর পিস্তলের লাইসেন্স এর বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল পুলিশ। কারণ লাইসেন্সটি বিভিন্ন রাজ্য থেকে করা হয়েছিল। পুলিশের নির্দেশ ছিল, যতদিন না লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই হবে, ততদিন পিস্তল পুলিশের হেফাজতে থাকবে।

গোয়েন্দাদের অনুমান, এই সমস্ত বিষয়ে জানতে আততায়ী। তাদের কাছে খবর ছিল যে, বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল রবিবার যাবেন টিটাগড়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে এমন কেউ জড়িত আছে, যে মণীশ শুক্লর ব্যাপারে সমস্ত কিছু জানত। তাঁর সমস্ত কিছু তার নখদর্পণে ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর শরীরে ১৪ টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গেছে। তাঁর শরীরে পাওয়া বুলেট হেড দেখে তদন্তকারীদের অনুমান তাঁকে ৭ এমএম পিস্তল থেকে গুলি করা হয়েছিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!