বিজেপি নেতাদের দলে নেওয়ার পেছনের টাকার লেনদেন? বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 20, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই নানা বিষয়ে তার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কখনও সীমিত ক্ষমতার মধ্যে তিনি মানুষের কাজ ঠিকমতো করতে পারছে না বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন, আবার কখনও বা তারা রাজনীতিতে এসে ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাভাবিকভাবেই তার নানা মন্ত্যব্য যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে শাসক শিবিরকে। আর এবার নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়ে বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করতে দেখা গেল বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। সেখানে তার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতাদের জন্য যোগদানের কর্মসূচির আবেদন জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি না জানা সত্ত্বেও, যেভাবে এই প্রক্রিয়া হয়েছে, তা নিয়েই রীতিমতো ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে টাকা-পয়সার লেনদেনের বিষয়টিও তুলে ধরতে দেখা গেছে তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই ফেসবুক পোস্ট যে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার বলাগড় বিধানসভার অন্তর্গত গুপ্তিপাড়া 1 নম্বর পঞ্চায়েতে অন্য দল থেকে যারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন, তাদের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর সেই খবর পেয়েই রীতিমতো ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে সরব হন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, “সবাই জানেন, শনি এবং রবিবার আমি কলকাতায় থাকি। খবর পেলাম, আমার অনুপস্থিতির সুযোগে গুপ্তিপাড়া এক নম্বর এলাকায় আমাদের দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিজেপির কয়েকজন এজেন্ট অন্য বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলের ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে, এর পেছনে নাকি লেনদেনের একটা বড়সড় ব্যাপার রয়েছে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব এমন কোনো নির্দেশ দেননি। বিজেপি থেকে কাউকে নেওয়া যাবে না। ওই কর্মসূচির সঙ্গে দলের যোগ নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তৃণমূল বিধায়কের এই ফেসবুক পোস্ট নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, যেভাবে দলের স্থানীয় নেতৃতশবের এই কর্মসূচি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল বিধায়ক, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল। এক্ষেত্রে তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে দলের ভেতরে থাকা বিজেপির এজেন্টদের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তাহলে কি তৃণমূলের ভেতরে বিজেপির অনেকে রয়েছেন? তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্টের পর এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বিজেপির অনেককে দলে গ্রহণ করার জন্য লেনদেনের যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তৃণমূল বিধায়ক, তাতে চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। কেন এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী আমাকে অভিযোগ করেছেন। তাই ফেসবুক পোস্ট করেছি। দলের জেলা নেতাদের জানানো হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে রিকশাচালক, পরবর্তীতে সাহিত্যিক হিসেবে সমাজের মূল স্রোতে উঠে এসেছিলেন এই মনোরঞ্জন ব্যাপারী। 2021 সালে তাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। জয়লাভও করেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তার নানা মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার বিজেপি থেকে আসা নেতাদের গ্রহণ করতে স্থানীয় তৃণমূলের উদ্যোগ নিয়েই বড় প্রশ্ন করে তৃণমূল নেতৃত্বকেই চাপের মুখে ফেলে দিলেন হেভিওয়েট এই বিধায়ক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -