প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে। যেখানে জানা যায়, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কংগ্রেসের অনেক নেতা, এমনকি বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও আড়িপাতা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এরপরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন একাংশ। মৌলিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার এই বিষয় নিয়ে বাদল অধিবেশনে রীতিমতো বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদের। তবে শুধু তৃণমূল থেকে শুরু করে কংগ্রেসের নেতাদের ফোনে আড়িপাতা নয়, এই ব্যাপারে রীতিমতো গেরুয়া শিবিরকে চাপে ফেলে দিয়ে বিজেপির অনেকের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে বলে সোচ্চার হতে দেখা গেল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে তৃণমূলের এই ধর্না এবং অন্যদিকে বিজেপির নেতাদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হল, তা রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, এদিন এই ফোনে আড়িপাতার বিষয়কে সামনে রেখে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। আর তারপরেই সংসদের সামনে ধর্নায় শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। আর সেখানেই এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপি নেতাদের ওপর আড়িপাতা হচ্ছে বলে দাবি করতে দেখা যায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে।

এদিন তিনি বলেন, “মূলত পেগাসাস ইস্যুতে আমরা আজ প্রতিবাদ করছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোর থেকে শুরু করে সাংবাদিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, এমনকি বিজেপি নেতাদের ওপরেও আড়িপাতা হচ্ছে এই পেগাসাসের মাধ্যমে। এর বিরুদ্ধেও আমরা প্রতিবাদ করছি।” আর তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে তৃণমূল যেমন বিজেপি বিরোধিতায় নিজেদের অন্যতম শক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করল, ঠিক তেমনই এর ফলে বিজেপির ভেতরে সংশয় প্রবেশ করিয়ে দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এক্ষেত্রে শুধু বিরোধী দলের নেতারাই নয়, আড়িপাতার দিক থেকে বিজেপির নেতারাও যে রেহাই পাচ্ছেন না, সেই বিষয়টিও তুলে ধরতে দেখা গেল তাকে। কিন্তু সৌগত রায়ের এই বক্তব্য কতটা সত্যি, এখন তা নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তবে এর সত্যতা বিচার্য বিষয়ের মধ্যে পড়ে। কিন্তু যেভাবে সংসদে পেগাসাসের বিরুদ্ধে ধর্ণা দিতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদের, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি যে যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।