এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি নেতাদের সভার পরেই পাল্টা সভা তৃনমূলের! বিজেপি কি বড় ফ্যাক্টর! চর্চা শুরু!

বিজেপি নেতাদের সভার পরেই পাল্টা সভা তৃনমূলের! বিজেপি কি বড় ফ্যাক্টর! চর্চা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের এখনও বেশ কয়েক মাস দেরি রয়েছে। তবে এবারের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। কেননা এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে প্রধান লড়াই হত বামেদের। কিন্তু এবার বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি ক্রমাগত তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। রাজ্যে ক্রমাগত বয়ে চলেছে গেরুয়া ঝড়। বারেবারেই পশ্চিমবঙ্গ সফর করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের।

অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নাড্ডা, বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা এখন মাঝেমধ্যেই বাংলায় এসে জনসংযোগ করছেন। আর তাদের এই গতিবিধিতেই স্পষ্ট, বিজেপি এবার বাংলাকে কার্যত পাখির চোখ করে নিয়েছে। তবে যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই যেহেতু নির্বাচনে ভালো ফল করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ, তাই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মত বিজেপিও সেই চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল মুখে যতই বিজেপিকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলুক না কেন, কাজের মধ্যে দিয়ে তারা বারবার বিজেপি যে তাদের কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বীরভূমের বোলপুরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চানক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে ব্যাপক জনসমাগম করে পদযাত্রা করতে দেখা যায় বিজেপির এই শীর্ষ নেতাকে। আর তারপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপির এই পদযাত্রার পাল্টা সেখানে পদযাত্রা করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত করে মঙ্গলবার সেই বোলপুরে পদযাত্রা করেন তৃণমূল নেত্রী। আর বিজেপি যেখানে যেখানে সভা করছে, সেখানে সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে পাল্টা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি তৃণমূলের কাছে সত্যি সত্যিই বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি! তাই তাদেরকে প্রতিহত করতে পাল্টা ময়দানে নামতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে! এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিজেপির স্থানীয় নেতারা ময়দানে নামলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা ময়দানে নামছেন। আর অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদির মত নেতারা যখন বাংলা সফর করছেন, তখন যে সমস্ত জায়গায় তাদের কর্মসূচি হচ্ছে, সেই সমস্ত জায়গায় পাল্টা আসরে নামতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে মুখে যতই গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, বাস্তবে তারা গেরুয়া ঝড় নিয়ে কিছুটা হলেও আতঙ্কিত। আর তা বিজেপির পাল্টা কর্মসূচির মধ্য দিয়েই কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছে শাসক দল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি বাংলা বিরোধী দল। তারা বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত নয়। এমনকি প্রায় প্রতিনিয়ত তৃণমূল নেতারা দাবি করেন, বিজেপি নেতারা বাইরে থেকে এসে বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বিজেপি বাংলায় শূন্য আসন পাবে বলেও দাবি করেন অনেক তৃণমূল নেতা। আর এখানেই প্রশ্ন, যে তৃণমূল বিজেপিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সেই তৃণমূল বিজেপি নেতারা যেখানে সভা করছে, সেখানে পাল্টা কেন কর্মসূচি নিচ্ছে?

এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারা মুখে বিজেপিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তাদের এই পাল্টা কর্মসূচি নেওয়ার ঘটনাতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, তারা বিজেপিকে নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত। কেননা যে যাই বলুক না কেন, পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া কাজ করবে। সেদিক থেকে অনেকে বিকল্প খোঁজার অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাই এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস মানুষের চোখে তৃণমূলের বিকল্প হয়ে উঠতে না পারায়, এখন বিজেপি মানুষের সমর্থন আদায় করে বিকল্প শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে শুরু করেছে। তবে কোনোকালেই তৃণমূল তা মানতে নারাজ।

কিন্তু অমিত শাহ বোলপুরে সভা করে যাওয়ার পর পাল্টা মঙ্গলবার যেভাবে সেখানে পদযাত্রা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোরগোল তুলে দিলেন, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপিকে বেশ ভালই গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ দিনের শেষে মুখে তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলার চেষ্টা করুক না কেন, বিজেপিই যে এবারের নির্বাচনে তাদের কাছে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে, তা তাদের গতিবিধির মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!