বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল, বাড়ছে দুই দলের তরজা তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য July 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন মিটে গিয়ে ফলাফল বেরিয়ে রাজ্যের সরকার গঠনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা যেন আর থামছেনা। ভোটের আগে যে ছবি দেখা যেতো, ভোটের পরেও প্রায় একই ছবি রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি পৌরসভার অন্তর্গত বিজেপি নেতা স্নেহাশীষ দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক তীব্র হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে তৃণমুলকেই দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত জানা গেছে, শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি পৌরসভার অন্তর্গত 10 নম্বর ওয়ার্ডে এলাকার বিজেপি নেতা স্নেহাশীস দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বোমাবাজি করেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আক্রান্ত বিজেপি নেতার বাড়িতে ছুটে আসেন কান্দি টাউন বিজেপি নেতৃত্ব। আর সমস্ত কিছু জানার পর বিজেপির তরফ থেকে কান্দি টাউন বিজেপি-র সভানেত্রী বিনীতা রায় বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে যেহেতু বিজেপি এগিয়েছিল, তাই এবার পৌরসভার নির্বাচনে আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি চাঞ্চল্যকরভাবে তিনি দাবী করেছেন, ভোটের প্রাক্কালে তাঁর বাড়িতেও একইভাবে বোমাবাজি করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যেই অবশ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের যদি পুলিশ তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। অন্যদিকে কান্দি শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা কান্দি পৌরসভার প্রশাসক সদস্য দেবল দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। তিনি দাবি করেছেন, ওই এলাকায় কিছু অনুষ্ঠান থাকার জন্য ছোটখাটো কিছু বোমা ফাটানো হতে পারে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেনি। সেক্ষেত্রে বিজেপির দিকে তিনি অভিযোগ তুলেছেন মিথ্যা অভিযোগ করে খবরে থাকার চেষ্টার। অন্যদিকে জানা গেছে, এই বোমাবাজির ঘটনার কথা সামনে আসতেই এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কান্দির বিজেপি নেতা স্নেহাশীষ দাসের সঙ্গে কথা বলতে আসছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে এই ঘটনা রাজ্য সরকারের জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত এই ঘটনার মোড় কোন দিকে এগোয়, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -