এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপি নেত্রী গুলিবিদ্ধ হতেই বাংলাকে ‘দ্বিতীয় পাকিস্তান’ বলে বিতর্ক বাড়ালেন হেভিওয়েট সাংসদ

বিজেপি নেত্রী গুলিবিদ্ধ হতেই বাংলাকে ‘দ্বিতীয় পাকিস্তান’ বলে বিতর্ক বাড়ালেন হেভিওয়েট সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনীতিতে হানাহানির ঘটনা বেড়ে চলেছে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, এ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলে এবং যত দিন যাচ্ছে ততই তাঁদের সেই অভিযোগ আরো পোক্ত হচ্ছে। বর্তমানে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের সংগঠনিক জোর বাড়ানোর কাজে মন দিয়েছেন, যার মধ্যে প্রধান দুটি দল হল বিজেপি এবং তৃণমূল। কিন্তু সংগঠন বাড়ানোর সাথে সাথেই একে অপরের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ করে চলেছে। সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের রঘুনাথপুরে স্থানীয় বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী রাধারানী নস্কর গুলিবিদ্ধ হন।

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলায় নতুন করে দুই গোষ্ঠীর চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি করেন সংসদ অর্জুন সিং। এবং সেখানেই তিনি বাংলাকে দ্বিতীয় পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এই থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি এদিন ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বিজেপি নেত্রী রাধারানী নস্করকে গুলি চালানোর ঘটনায় ছয়জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবি নিয়েই এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে।

বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন বিষ্ণুপুর বিধানসভা 4 নম্বর মণ্ডলের বিজেপি মহিলা মোর্চা কোষাধ্যক্ষ রাধারানী নস্কর। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, ধৃত চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আলিপুর আদালত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে পঞ্চানন নস্করের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পঞ্চানন নস্কর পুলিশের হাতে আসেনি বলেই এদিন বিষ্ণুপুর থানা ঘেরাও করে গেরুয়া শিবির। এদিনের থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উমেশ দাস ও সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু। বিষ্ণুপুর থানার সামনে 117 নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ঘন্টা খানেক এর বেশি সময় অবরোধ করে রাখা ছিল বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি ও সাংসদ অর্জুন সিং, জেনারেল সেক্রেটারি ও জোনাল অবজারভার সঞ্জয় সিং, রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি নেতা গৌতম চৌধুরীসহ জেলা ও রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। আর এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং এদিন বাংলাতে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পরা নিয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন বাংলাকে।অর্জুন সিং দাবি করেন, বাংলার ঘরে ঘরে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। সাংসদের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন যেভাবেই ভয় দেখানো হোক না কেন, একুশের নির্বাচনে বিজেপি পরিবর্তন আনতে চলেছে বাংলায়।

অন্যদিকে এদিন জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ রাধারানী নস্করের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এদিন দেখা করেন এবং কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে। এলাকায় এখনো চলছে জোরদার আলোচনা। অর্জুন সিং এর অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যজুড়ে একের পর এক হানাহানির ঘটনা যেভাবে হয়ে চলেছে তা আটকাতে কিন্তু একমাত্র রাজ্য প্রশাসনই সবথেকে বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!