এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি এনআরসির বিকল্প অস্ত্র বেছে নিলেন মমতা, জানুন বিস্তারিত

বিজেপি এনআরসির বিকল্প অস্ত্র বেছে নিলেন মমতা, জানুন বিস্তারিত


 

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তবে এই এনআরসির ফলে শরণার্থীরা থাকলেও অনুপ্রবেশকারীরা বাদ যাবেন বলে বারবার উঠে এসেছে বিজেপি নেতাদের কথায়। কিন্তু বরাবরই বিজেপির বিরুদ্ধে এই এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কোনোভাবেই বাংলায় এনআরসি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এনআরসি নিয়ে সদর্থক বার্তা দিলেও বিজেপির কাছ থেকে সেই প্রচার নিজেদের দিকে আনতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, সোমবার রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ক্যাবিনেটের বৈঠকের পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

যেখানে তিনি বলেন, “1971 এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যারা এদেশের আশ্রয়ের আশায় এসেছিলেন, তাদেরকে জমির অধিকার দেওয়া হবে। যার মধ্যে 55 হাজার পরিবার কেন্দ্রীয় সরকারি জমির উপর এবং 13 হাজার 353 টি পরিবার রাজ্য সরকারি জমির উপর বসবাস করছেন। অতীতে 94 টি শরনার্থী কলোনিকে দেওয়া হয়েছিল। এবার তিন একর পর্যন্ত জমিতে থাকা শরণার্থীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হল।” আর কেন্দ্র যখন এনআরসি লাগু করা হবে বলে দাবি করছে, ঠিক তখনই শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা কেন্দ্রকেই চাপে ফেলে দেওয়ার জন্য বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, যখন রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এই ঘোষণা করে একদিকে যেমন বিজেপির এনআরসিকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি, ঠিক তেমনই আগামী বিধানসভা এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের পথও প্রশস্ত করার চেষ্টা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যের জমিতে অসুবিধা না হলেও কেন্দ্রীয় সরকার এবং বেসরকারি জমিতে থাকা কলোনীগুলোকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়।

কিন্তু এবার সেই সমস্ত জমিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে তাদের সমস্যা সমাধানে যাতে উদ্যোগী হওয়া যায়, তার জন্য এদিনের বৈঠক থেকে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকের পর এরূপ ঘোষণা করলেও তাকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়ে যাবে। অনেক বছর ধরেই আমরা শুনে আসছি যে শরণার্থীদের জমির অধিকার দেওয়া হবে। যা হয়নি। এই ঘোষণাতেও তাই কিচ্ছু হবে না।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে যতই কটাক্ষ করা হোক না কেন, এনআরসি নিয়ে তোলপাড়ের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণার্থীদের জমি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!