এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে! পুকুর না কেটেই পুকুর চুরি?

বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে! পুকুর না কেটেই পুকুর চুরি?


এবার বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল বড়সড় অনিয়মের অভিযোগ। যেখানে পুকুর না কেটেই কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রঘুনাথপুর 2 ব্লকের নতুনডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

জানা গেছে, 2019-20 অর্থবর্ষে এই পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নড়িয়ায় দুটি, তোলডিতে একটি একটি এবং কাশিবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সাতটি পুকুর খনন কাজের টাকা তোলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেভাবে পূর্ণাঙ্গরূপে কোনো পুকুরের খনন কাজে কোন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। উল্টে পঞ্চায়েত থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর এতেই সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে একাংশ।

আর পুকুর না খনন করেই তার টাকা তুলে নেওয়ায় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে যে চরম চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই চন্দ্র দাস, পবন বাউরিরা বলেন, “হাপা খননের কাজ কোনটি অর্ধেক, আবার কোনোটির কাজ না করে পঞ্চায়েত থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই ব্যাপারে ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি স্বপন মাহাথা বলেন, “এই পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজ না করেও টাকা তোলা হয়েছে। বিজেপি মানুষের বিকাশের জন্য কাজ করে না। নিজেদের বিকাশই ওদের প্রধান লক্ষ্য।” তবে সাধারণ বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে দিয়েছেন এই পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান সুচিত্রা বাউরি।

একইভাবে এই ব্যাপারে বিজেপির মন্ডল সভাপতি অসীম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন। আমাদের দলের বদনাম করার জন্য এটা তৃণমূলের একটা চক্রান্ত। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে সম্পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তাতে যদি আমাদের দলের কোনো সদস্য জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিজেপি কখনও কোনো অন্যায় করেনি। আর অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দেয় না।”

এদিকে গোটা ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও মৃন্ময় মন্ডল। তবে তদন্তে যাই উঠে আসুক না কেন, যেভাবে এখানে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে পুকুর না কেটেও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে এখানে গেরুয়া শিবির অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!