বিজেপির প্রার্থী বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, জেনে নিন, কি বললেন তিনি! তৃণমূল বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, আর সেই কারণেই প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর দলের অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে বিরোধীদের তরফ থেকে খোঁচা শুনতে হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসকে। তবে নির্বাচনের মুখে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই গেরুয়া শিবিরের একাংশ কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ কার্যত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিজেপির মত সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরায়ন দলে প্রার্থী হতে চেয়ে এক পক্ষের বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধ নিঃসন্দেহে তৃণমূলের হাতে তুলে দিয়েছে বাড়তি হাতিয়ার। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি স্তরের নেতারা। আর এবার সরাসরি নির্বাচনী জনসভা থেকে এই ব্যাপারে মুখ খুলে বিজেপির পুরনো লোকেরা গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি জনসভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই বিজেপিতে যারা নতুন প্রবেশ করছে, তাদের প্রার্থী করা হচ্ছে। কিন্তু পুরনো লোকেদের কোনো গুরুত্ব নেই বলে দাবি করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির পুরোনো লোকেরা ঘরে বসে কাঁদছে। আর সিপিএমের যারা হার্মাদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু চিটিংবাজ ওখানে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এক প্রকার পরিষ্কার যে, তিনি বিজেপির মধ্যে যে বিদ্রোহ চলছে, তাকে আরও দ্বিগুন ভাবে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা রাজ্যে খুব একটা ভালো নয়। বেশিরভাগ বিধানসভা আসনেই বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সাথে সাথেই যে বিদ্রোহ তৈরি হয়েছে, তাকে আরও বাড়িয়ে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে এই কৌশলী এবং তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেও, তাকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের দাবি, তাহলে তৃণমূল নেত্রী স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, এতদিন যারা তার দলে ছিল, তারা চিটিংবাজ! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে পিসি আর ভাইপো ছাড়া এখন আর কেউ থাকবে না। তাই এখন থেকেই আতঙ্কে পড়ে তৃণমূল নেত্রী সবাইকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। আগে উনি নিজের ঘর সামাল দিন, তারপরে বিরোধীদের দিকে নজর দেবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে। মুখে সেই কথা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব স্বীকার না করলেওহ বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর নাম না করে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া সেই সমস্ত বিজেপি নেতাদের দায়ী করে বিজেপির ঘাড়েই চাপানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু সুকৌশলে তিনি এই কথা বলে বিজেপির উপর যতই চাপ সৃষ্টি করুন না কেন, আদতে লাভের ফসল কে ঘরে তোলে, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -