জেতা আসন হেরেও পার্টি অফিসে জমিয়ে চলছে মোচ্ছব! বিজেপি নেতারা এবার কর্মীদের তীব্র রোষে! মেদিনীপুর রাজ্য December 1, 2019 সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা উপনির্বাচনে যে দুটি আসনে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা সব থেকে প্রবল ছিল, তার মধ্যে অন্যতম খড়গপুর। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়যুক্ত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরবর্তীতে মেদিনীপুর লোকসভা আসন থেকে তিনি জয়যুক্ত হয়ে সাংসদ হন। সেই সময় সেই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই 45 হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার থেকে এগিয়েছিল দিলীপবাবু। কিন্তু বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই দেখা যায়, এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজেপি প্রার্থীকে কুড়ি হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন। আর এরপর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে তাদেরকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। মূলত নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিন্তু এদিন কিছুটা বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা কার্যালয় খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়ের পর জেলা কার্যালয়ে বসে মাংস ভাত সহযোগে পিকনিকের অভিযোগ ওঠে একশ্রেণীর বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, ওই খাওয়া-দাওয়ার আসরে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য এবং দলের বেশ কিছু ডাকাবুকো নেতা। কিন্তু এই পিকনিকের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করেই জেলা অফিসে আবির্ভাব ঘটে বেশ কয়েকজন পুরনো ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর দলীয় নেতাদেরকে খাদ্য উৎসব করতে দেখে নিজেদের ক্রোধ সম্বরন করতে পারেনি দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মীরা। মেজাজ হারিয়ে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসে ভাঙচুর করতে শুরু করে। তৎসহ পিকনিকে উপস্থিত নেতাদেরকে পার্টি অফিস থেকে বাইরে বার করে বেধড়ক মারধর করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অনেকে। শুধু তাই নয়, খাবার-দাবারের জিনিসপত্র ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিজেপি কর্মীদের রোষানল থেকে বাদ পড়েনি জেলা বিজেপি সভাপতির গাড়িটিও। কর্মীরা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে অবশেষে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এই বিষয়ে অবশ্য সেদিনের পিকনিকে উপস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “পুরনো রাগের কারণে বিজেপির অপর গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে পার্টি অফিসে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। যারা হামলা চালিয়েছেন তারা বিজেপির ভালো চায় না।” তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কেন্দ্রে কার্যত নির্দ্বিধায় জিতে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির, কুড়ি হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হওয়ার পরও যদি দলীয় নেতারা পার্টি অফিসে বসে পিকনিকের আয়োজন করেন, তবে সাধারন মাঠে ময়দানে লড়াই করে সংগঠন করা নীচুতলার কর্মীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে যদি পার্টি অফিসে খাওয়া-দাওয়ার অভিযোগ সঠিক হয়ে থাকে, তবে নিজেদের আচরণের ব্যাপারে অনেক বেশি সাবধানী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -