এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের অস্বস্তিও বাড়িয়ে দিলেন মুকুল, আশঙ্কায় ঘাসফুল শিবির!

বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের অস্বস্তিও বাড়িয়ে দিলেন মুকুল, আশঙ্কায় ঘাসফুল শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলেই পরিচিত তিনি। যখন তিনি যে শিবিরে থেকেছেন, তখন প্রতিপক্ষ শিবিরের কার্যত ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন। অনেকে তাকে দল ভাঙানোর কারিগর বলেও আখ্যা দেন। সেদিক থেকে চার বছর বিজেপির সঙ্গে ঘর করার পর কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপর থেকেই বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই মুকুল রায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রথম পা রাখার সাথে সাথেই সেই মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মুকুল রায় কৃষ্ণনগরে পৌঁছতেই রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।

সূত্রের খবর, শিবির পরিবর্তন করার পর এদিন প্রথম কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পা রাখেন সেখানকার বিধায়ক মুকুল রায়। প্রথমেই কৃষ্ণনগর বেলডাঙ্গার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেখানেই পৌঁছে যান মুকুলবাবু। তবে নিজের নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানানোর সাথে সাথেই রীতিমতো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

যেখানে মুকুল রায়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দুই নেতার মধ্যে বচসা তৈরি হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। যার জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের বিশৃংখলা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছেন, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর বিজেপির অস্বস্তিতে বেড়েছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে কার্যত স্পষ্ট যে, মুকুল রায় দল পরিবর্তন করার পর তার সঙ্গে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভাঙ্গন আটকাতে রীতিমত অস্বস্তির মুখে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে 2017 সালের আগে যখন মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, তখন থেকেই একটা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল যে, মুকুল রায়ের কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে। যদিও বা সেই অভিযোগ কোনোকালেই স্বীকার করেনি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু 2017 সালে সেই মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তবে গেরুয়া শিবিরের টিকিটে জয়লাভ করে বিধায়ক হওয়ার পর সেই মুকুল রায় বেশ কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে শিবির পরিবর্তন করার পর প্রথম নিজের বিধানসভায় রাখার সাথে সাথেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন মুকুল রায়।

যার ফলে অনেকে বলছেন, মুকুল রায় যেমন বিজেপির কাছে অস্বস্তিকর, ঠিক তেমনই শিবির পরিবর্তন করার পর প্রথম নিজের বিধানসভায় পা রাখার সাথে সাথেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত প্রমাণ করল যে, মুকুল রায় তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট স্বস্তির কারণ নয়। আর সেই কারণেই তার মত হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতি সত্ত্বেও তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে পারল না বলেই দাবি করছেন সমালোচকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!