এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মোহনবাবু? বিস্ফোরক অভিযোগ দলীয় নেতার

বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মোহনবাবু? বিস্ফোরক অভিযোগ দলীয় নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মোহন বসুর বিরুদ্ধে। দলের এক নেতার তরফে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানানো হল, বিজেপির পার্টি অফিস তৈরিতে তিনি যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আর একজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আরেক তৃনমূল নেতা এই ধরনের অভিযোগ করায় রীতিমতো টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে।

সূত্রের খবর, এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সৈকতবাবু। পাশাপাশি এই ব্যাপারে মোহন বসুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গেছে তাকে। তার বক্তব্য, পৌরসভার মেয়াদের শেষ দিন ডিবিসি রোডে বিজেপির পার্টি অফিসের প্ল্যান পাস করিয়ে দিয়েছেন মোহনবাবু।

কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখেই তিনি এই কাজ করেছেন। যে জমিতে বিজেপি পার্টি অফিস করবে বলে প্ল্যান পাস করেছিল, সেটা ওয়াকফ সম্পত্তি। এখন যে প্রশাসনিক বোর্ড রয়েছে, তারা ওই প্ল্যান পুনরায় পর্যালোচনা করবে। আর সৈকত চট্টোপাধ্যায় মোহন বসুর বিরুদ্ধে এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ করায় এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে। তাহলে কি সত্যি সত্যি মোহনবাবু মেয়াদ শেষের আগের দিন বিজেপিকে সাহায্য করে তাদের পার্টি অফিস তৈরির ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন? কিন্তু এটা যদি করে থাকেন, তাহলে তো তিনি তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনিতেই জলপাইগুড়ি পৌরসভায় মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রশাসক পদে মোহন বসু না থাকায় তিনি দলের বর্তমান জেলা সভাপতি কিষান কুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন। এমনকি তার আচরনে এটাও ফুটে উঠেছিল যে, তিনি হয়ত এবার জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। তবে এবার জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় যেভাবে বিজেপিকে সহযোগিতা করার অভিযোগ তুললেন মোহন বসুর বিরুদ্ধে, তাতে চাপে বাড়ল বলেই মনে পড়ছে ওয়াকিবহাল মহল।

একাংশের মতে, যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে কি মোহন বসু এবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও বাড়তে পারে। দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে এমনিতেই মোহন বসুর সম্পর্ক ভালো নয়। তার মধ্যে এবার যুব সভাপতি যেভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন, তাতে তিনি দলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গেলেন। ফলে এখন মোহন বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তিনি কি বলেন এবং তার রাজনৈতিক চালচলন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!